১০:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে বাণিজ্যিকভাবে বস্তায় আদা চাষ হচ্ছে

আধুনিক পদ্ধতিতে স্বল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় গ্রামীণ কৃষিতে আগ্রহ বাড়ছে আদা চাষে। বাড়ির আঙিনা, ছাদ, অনাবাদি ও পতিত জমিসহ বিভিন্ন জায়গায় বস্তায় কিংবা টবে মাটি ভরে ঠাকুরগাঁওয়ে আদা চাষ করা হচ্ছে। অন্যান্য গাছের পাশাপাশি সাথি ফসল হিসেবে চাষ করা হচ্ছে আদা। মসলা ও ভেষজ ঔষধ হিসেবে আদা ব্যবহার হওয়ায় আদার দামও বেশ চড়া। পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে বাড়তি লাভের আশায় প্রান্তিক কৃষকরা আদা চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে। জেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলায় এবার ৯৬ হাজার ৮৩০ বস্তায় ও ১১৬ হেক্টর জমিতে আদা চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলাতেই ৪১ হাজার ১৬৭টি বস্তায় আদা চাষ করা হচ্ছে। আদা চাষি আজিজুর রহমান বলেন, প্রতি বস্তায় মাটি সংগ্রহ, সার ও লেবার খরচসহ প্রায় ৫০ টাকা খরচ হয় এবং আদা বিক্রয় করা যায় প্রায় ১৫০ টাকার। তিনি ১২ হাজার বস্তায় আদা চাষে খরচ করেছেন প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। আবহাওয়া ঠিক থাকলে ১৮ লক্ষ টাকার আদা বিক্রয় করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে আদা চাষে একদিকে তিনি যেমন কৃষক লাভবান হচ্ছে। অন্যদিকে কর্মসংস্থান হয়েছে স্থানীয়দের। ২৫ হাজার বস্তায় শেয়ারে আদা চাষি বুলবুল বলেন, তারা দুই বন্ধু মিলে আদা চাষ করছেন। প্রথমবার আদা চাষে তারা লাভ লোকসানের হিসেব মিলাতে পারছে না। ২৫ হাজার বস্তার মধ্যে আদা ধরেছে ১২-১৫ হাজার বস্তায়। আদা চাষে পরিচর্যায় কাজ করতে আসা নারী শ্রমিকরা বরেন, আদা পরিচর্যার কাজ করে দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরি পান। এতে তাদের ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ ও সংসার চালানোয় সহযোগিতা হচ্ছে। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মা. সাজ্জাদ হোসেন সোহেল বলেন, মাঠপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা আদা চাষি কৃষকদের সকল ধরনের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মূল্যস্ফীতি এখনো ঊর্ধ্বমুখী

ঠাকুরগাঁওয়ে বাণিজ্যিকভাবে বস্তায় আদা চাষ হচ্ছে

আপডেট সময় : ১০:৫৮:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

আধুনিক পদ্ধতিতে স্বল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় গ্রামীণ কৃষিতে আগ্রহ বাড়ছে আদা চাষে। বাড়ির আঙিনা, ছাদ, অনাবাদি ও পতিত জমিসহ বিভিন্ন জায়গায় বস্তায় কিংবা টবে মাটি ভরে ঠাকুরগাঁওয়ে আদা চাষ করা হচ্ছে। অন্যান্য গাছের পাশাপাশি সাথি ফসল হিসেবে চাষ করা হচ্ছে আদা। মসলা ও ভেষজ ঔষধ হিসেবে আদা ব্যবহার হওয়ায় আদার দামও বেশ চড়া। পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে বাড়তি লাভের আশায় প্রান্তিক কৃষকরা আদা চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে। জেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলায় এবার ৯৬ হাজার ৮৩০ বস্তায় ও ১১৬ হেক্টর জমিতে আদা চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলাতেই ৪১ হাজার ১৬৭টি বস্তায় আদা চাষ করা হচ্ছে। আদা চাষি আজিজুর রহমান বলেন, প্রতি বস্তায় মাটি সংগ্রহ, সার ও লেবার খরচসহ প্রায় ৫০ টাকা খরচ হয় এবং আদা বিক্রয় করা যায় প্রায় ১৫০ টাকার। তিনি ১২ হাজার বস্তায় আদা চাষে খরচ করেছেন প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। আবহাওয়া ঠিক থাকলে ১৮ লক্ষ টাকার আদা বিক্রয় করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে আদা চাষে একদিকে তিনি যেমন কৃষক লাভবান হচ্ছে। অন্যদিকে কর্মসংস্থান হয়েছে স্থানীয়দের। ২৫ হাজার বস্তায় শেয়ারে আদা চাষি বুলবুল বলেন, তারা দুই বন্ধু মিলে আদা চাষ করছেন। প্রথমবার আদা চাষে তারা লাভ লোকসানের হিসেব মিলাতে পারছে না। ২৫ হাজার বস্তার মধ্যে আদা ধরেছে ১২-১৫ হাজার বস্তায়। আদা চাষে পরিচর্যায় কাজ করতে আসা নারী শ্রমিকরা বরেন, আদা পরিচর্যার কাজ করে দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরি পান। এতে তাদের ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ ও সংসার চালানোয় সহযোগিতা হচ্ছে। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মা. সাজ্জাদ হোসেন সোহেল বলেন, মাঠপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা আদা চাষি কৃষকদের সকল ধরনের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।