১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘুর্ণিঝড় দানা’র প্রভাব, কুড়িগ্রামে বাতাসে নুয়ে পড়েছে আমন ক্ষেত, দুঃশ্চিতায় কৃষক

ঘূর্ণিঝড় দানা’র প্রভাবে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় গত তিনদিনেন দমকা হাওয়া ও ঝড় বৃষ্টিতে মাটিতে নুয়ে পড়েছে রোপা আমন আবাদ। নুয়ে পড়া এসব আধা পাকা ধান নিয়ে দুঃশ্চিতায় এখানকার আমন চাষীরা।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানায়, এখনও নুয়ে পড়া ক্ষেতের পরিমান নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে নুয়ে পড়া ধানের ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ার কথা জানায় কৃষি বিভাগ।

জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার  বিভিন্ন উপজেলার কয়েকশো বিঘা জমির আমন খেত মাটিতে নুয়ে পড়েছে। নুয়ে পড়া ধানের মধ্যে হাইব্রিড জাতের ও গুটি স্বর্ণ জাতের ধানের পরিমান বেশি। এদিকে এখানকার নীচু এলাকার আমন খেতগুলোতে পানি উঠে জমে থাকায় ওইসব খেতে শীষ বের হওয়া আধা পাকা আমন ধান নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে কৃষকরা।

চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের গাবেরতল  এলাকার কৃষক সাজু  মিয়া বলেন , বাতাসের কারণে আমাদের এখানে বেশকিছু জমির আমন খেত মাটিতে শুয়ে গেছে। আমরা অনেক চিন্তায় আছি।

ওই ইউনিয়নের কৃষক আমিনুল ইসলাম  বলেন,  জমির ধানের গাছগুলো মাটিতে শুয়ে পড়েছে। বেশিদিন এমন থাকলে ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়াও এসব আমন ধান চিটা হওয়ারও সম্ভাবনা আছে।

ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন জানান, চলতি মৌসুমে  ফুলবাড়ী উপজেলায় লক্ষমাত্রার চেয়ে ১১ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়। দমকা হাওয়া ও ঝড় বৃষ্টিতে কত পরিমান ধান ক্ষেত মাটিতে নুয়ে পড়েছে তার পরিমান এখনো জানা যায়নি। পরিমান নির্ধারণের কাজ চলছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জেলায় অল্প কিছু জমির আমন আবাদ বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে মাঠিতে নুয়ে পড়ছে। তবে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ার কথা। এবার জেলা ১ লাখ ২০ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ অর্জিত হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সপরিবারে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন তারেক রহমান

ঘুর্ণিঝড় দানা’র প্রভাব, কুড়িগ্রামে বাতাসে নুয়ে পড়েছে আমন ক্ষেত, দুঃশ্চিতায় কৃষক

আপডেট সময় : ০৮:৪১:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় দানা’র প্রভাবে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় গত তিনদিনেন দমকা হাওয়া ও ঝড় বৃষ্টিতে মাটিতে নুয়ে পড়েছে রোপা আমন আবাদ। নুয়ে পড়া এসব আধা পাকা ধান নিয়ে দুঃশ্চিতায় এখানকার আমন চাষীরা।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানায়, এখনও নুয়ে পড়া ক্ষেতের পরিমান নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে নুয়ে পড়া ধানের ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ার কথা জানায় কৃষি বিভাগ।

জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার  বিভিন্ন উপজেলার কয়েকশো বিঘা জমির আমন খেত মাটিতে নুয়ে পড়েছে। নুয়ে পড়া ধানের মধ্যে হাইব্রিড জাতের ও গুটি স্বর্ণ জাতের ধানের পরিমান বেশি। এদিকে এখানকার নীচু এলাকার আমন খেতগুলোতে পানি উঠে জমে থাকায় ওইসব খেতে শীষ বের হওয়া আধা পাকা আমন ধান নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে কৃষকরা।

চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের গাবেরতল  এলাকার কৃষক সাজু  মিয়া বলেন , বাতাসের কারণে আমাদের এখানে বেশকিছু জমির আমন খেত মাটিতে শুয়ে গেছে। আমরা অনেক চিন্তায় আছি।

ওই ইউনিয়নের কৃষক আমিনুল ইসলাম  বলেন,  জমির ধানের গাছগুলো মাটিতে শুয়ে পড়েছে। বেশিদিন এমন থাকলে ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়াও এসব আমন ধান চিটা হওয়ারও সম্ভাবনা আছে।

ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন জানান, চলতি মৌসুমে  ফুলবাড়ী উপজেলায় লক্ষমাত্রার চেয়ে ১১ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়। দমকা হাওয়া ও ঝড় বৃষ্টিতে কত পরিমান ধান ক্ষেত মাটিতে নুয়ে পড়েছে তার পরিমান এখনো জানা যায়নি। পরিমান নির্ধারণের কাজ চলছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জেলায় অল্প কিছু জমির আমন আবাদ বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে মাঠিতে নুয়ে পড়ছে। তবে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ার কথা। এবার জেলা ১ লাখ ২০ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ অর্জিত হয়েছে।