রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ভাঙচুর এবং শহীদ আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ৭১ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে ১০৯ তম সিন্ডিকেট সভায় সেমিস্টার অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এই ৭১ জনের তালিকা প্রকাশ করা হলে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এর তীব্র বিরোধিতা করে।
এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২১জানুয়ারী) বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া চত্ত্বরে বেলা সাড়ে ৩টায় মানববন্ধন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রকম শ্লোগান দিতে থাকে। হা হা হাস্যকর! র্্যাগিং এ বহিষ্কার মেরে ফেললে সেমিস্টার। প্রহসনের এই বিচার মানি না। অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম আশিকুর রহমান বলেন, প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত মানি না।প্রশাসন যদি এই জড়িত ৭১ জন কে ৩ দিনের মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কার না করলে আমরা সকল ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ করেদিব। এখনো হামলার সাথে জড়িত অনেক কর্মকর্তা কর্মচারী অফিস করতেছে। আমরা তাদের শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আহসান হাবীব বলেন, জুলাই আগষ্ট বিপ্লবের পর বেরোবিতে প্রথম যখন ভিসি নিয়োগ হয় তখন তিনি আমদের কথা দিয়েছিলেন যে আবু সাইদ হত্যার সাথে যারা জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্ত করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করবেন কিন্তু হত্যার ৬ মাস পর নাম মাত্র ১/২সেমিস্টার বহিষ্কারের ব্যবস্থা করলেন যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়।আমরা এটা মানি না।


























