দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, নারী নির্যাতন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে চলো যাই যুদ্ধে, ধর্ষকের বিরুদ্ধে; নারী নির্যাতন বন্ধ করো, জানোয়ারদের বিচার করো; আমার বোন রাস্তায় চলবে, নিরাপদে ঘরে ফিরবে; নারী জাগলে সমাজ জাগবে, ধর্ষকের রাজত্ব ভাঙবে; আমাদের এই সমাজে, ধর্ষকের ঠাই নাই; বিচার চাই, আজই চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই; আইন যদি না দেয় শাস্তি, জনতাই দেবে প্রতিবাদ গাঁথি; তনু, নুসরাত, নীলা, মৌমিতা, আর কতো হবে নিরবতা; রুখে দাঁড়াও সবাই এবার, ধর্ষকের শেষ হবে এবার; নারী মানে মা-বোন সবার,তাদের প্রতি কেন অত্যাচার? ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়৷
শাওয়ানা শামীম বলেন, চব্বিশের স্বৈরাচার পতন আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের একটি স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিলো। কিন্তু দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে এসে আইন ও শাসনের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন ভাবে নারীদের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটার পরে যখন আমরা পুলিশে অভিযোগ দেই তার কিছুদিন পর দেখা যায় ধর্ষকেরা জামিনে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। এই যদি অবস্থা হয় তাহলে নারীরা কীভাবে তাদের অধিকার নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবী জানাই।
নাহিদ হাসান বলেন, সমাজে নারীদের কোন অবদান থাকুক বা না থাকুক সমাজে কোন ধর্ষক থাকতে পারবে না। যদি নারীদের কনট্রিবিউশন জিরো পার্সেন্ট থাকে তবুও ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে প্রতিনিয়ত নারীরা হেনস্তার শিকার হচ্ছে। নারীরা সামাজিক অবস্থার কথা চিন্তা করে অনেক সময় বিচার প্রার্থনা করে না আবার পুলিশও স্বউদ্যোগী হয়ে ভুক্তভোগীর পরিচয় গোপন রেখে যথার্থ পদক্ষেপ নিবে তা করতে ব্যর্থ হয়। অনেক সময় রাজনৈতিক ছাত্রছায়ায় ধর্ষকদের বাঁচানোর প্রচেষ্টা করা হয়।
সুকান্ত দাস বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে বলতে চাই যতদ্রুত সম্ভব এই মেরুদন্ডহীন ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদ থেকে সরান। আপনাদেরকে আপ্যায়ন করে চেয়ারে বসানো হয় নাই, এই মেয়েরা আপনাদের এই চেয়ার দিয়েছে। আপনাদের চেয়ারে বসার রাস্তাটা রক্তরঞ্জিত ছিল। আপনার যদি ধর্ষণের বিচার করতে না পারেন তাহলে যা সোজা করে বলে দেন যে আপনারা পারবেন না। একজন ইমাম তাহলে ধর্ষকের যে বিচার করবে আমরা তা মেনে নেব। দেশজুড়ে এত সন্ত্রাস এতো নির্যাতন, ছয় মাস হয়ে গেছে আপনারা পায়ের উপর পা তুলে বসে আছেন, এজন্য আপনাদের চেয়ারে বসানো হয়েছে? আমাদের শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত আমরা মা বোনদের উপর নির্যাতন সহ্য করব না।


























