নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) স্টেট এন্ড হাউজিং শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. গোলাপ হোসাইনকে শরীর মাসাজ করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

বুধবার মধ্যরাতে এনএসটিইউ ভয়েস নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করা হয় শরীর মাসাজের ভিডিওটি। মুহূর্তের মধ্যে সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, তার অধঃস্তন এক কর্মচারী অফিস কক্ষে তাকে মাসাজ করে দিচ্ছেন, আর তিনি সেটি উপভোগ করছেন। এমনকি মাসাজ নেওয়ার সময় তিনি গুনগুন করে গানও গাইছেন। এবং অন্য আরেক কর্মকর্তাকে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা অফিস সময়ে এমন কাজ করতে পারেন না। কেউ কেউ বলছেন, এটি ক্ষমতার অপব্যবহারের একটি উদাহরণ, যেখানে অধঃস্তন কর্মচারীকে ব্যক্তিগত সেবার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে নোবিপ্রবির শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় হলো উচ্চশিক্ষার জায়গা, এখানে দায়িত্বশীলতার একটা মানদণ্ড থাকা উচিত। রেজিস্ট্রারের মতো একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা অফিস সময়ের মধ্যে ব্যক্তিগত কাজে কর্মচারীকে ব্যবহার করবেন—এটা মানা যায় না!”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আমরা পেশাদারিত্ব আশা করি। এই ধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া।”

বিষয়টি নিয়ে ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. গোলাপ হোসাইনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ভিডিওটির বিষয়ে নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল জানান, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করবো। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।