০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোগান্তিতে নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা ঈদের ছুটির পরও অধিকাংশ খাবারের দোকান বন্ধ

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) খুলেছে গত ৬ এপ্রিল। তবে ক্লাস শুরু হলেও এখনো চালু হয়নি অধিকাংশ খাবারের দোকান ও হল ডাইনিং। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসা শিক্ষার্থীরা।

শনিবার ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, মূল ক্যাফেটেরিয়া, শান্তিনিকেতন সংলগ্ন খাবারের দোকান, পকেট গেটের টং এবং আব্দুল মালেক উকিল হলের ডাইনিং এখনো বন্ধ। শিক্ষার্থীদের অনেকে বাধ্য হয়ে বাইরের হোটেল-রেস্টুরেন্টে বেশি দামে খাবার কিনছেন, কেউ কেউ দিন পার করছেন টোস্ট বিস্কুট বা শুকনো খাবারে।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাকলাইন মোসতাক বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরও দোকানগুলো নিজেদের ইচ্ছামতো খোলে। এতে আমরা প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়ি। প্রশাসনের উচিত নিয়মিত তদারকি নিশ্চিত করা।”

একই ধরনের অভিজ্ঞতা জানালেন কৃষি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আদনান রায়হান। তিনি জানান, “খাবার না পেয়ে সকাল-বিকেল শুধু বিস্কুট আর ঝালমুড়িতে কাটছে। বাইরে খেতে গেলে খরচ অনেক বেড়ে যায়। এভাবে কতদিন চলবে?”

এ বিষয়ে আব্দুল মালেক উকিল হলের ডাইনিং ম্যানেজার মো. ইয়াসিন মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় খোলার শুরুতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম থাকায় ডাইনিং চালু করা সম্ভব হয়নি। এত কম শিক্ষার্থী হলে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে।”

এ বিষয়ে হলটির প্রভোস্ট ড. মো. তসলিম মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, “সহকারী প্রভোস্টকে ডাইনিং চালুর বিষয়ে জানানো হয়েছিল। আগামী সপ্তাহে বৈঠকের মাধ্যমে ডাইনিং চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রতিবছরই ঈদের পর একই অবস্থা তৈরি হয়। তারা চান, প্রশাসন যেন স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

ভোগান্তিতে নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা ঈদের ছুটির পরও অধিকাংশ খাবারের দোকান বন্ধ

আপডেট সময় : ১০:০৭:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) খুলেছে গত ৬ এপ্রিল। তবে ক্লাস শুরু হলেও এখনো চালু হয়নি অধিকাংশ খাবারের দোকান ও হল ডাইনিং। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসা শিক্ষার্থীরা।

শনিবার ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, মূল ক্যাফেটেরিয়া, শান্তিনিকেতন সংলগ্ন খাবারের দোকান, পকেট গেটের টং এবং আব্দুল মালেক উকিল হলের ডাইনিং এখনো বন্ধ। শিক্ষার্থীদের অনেকে বাধ্য হয়ে বাইরের হোটেল-রেস্টুরেন্টে বেশি দামে খাবার কিনছেন, কেউ কেউ দিন পার করছেন টোস্ট বিস্কুট বা শুকনো খাবারে।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাকলাইন মোসতাক বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরও দোকানগুলো নিজেদের ইচ্ছামতো খোলে। এতে আমরা প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়ি। প্রশাসনের উচিত নিয়মিত তদারকি নিশ্চিত করা।”

একই ধরনের অভিজ্ঞতা জানালেন কৃষি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আদনান রায়হান। তিনি জানান, “খাবার না পেয়ে সকাল-বিকেল শুধু বিস্কুট আর ঝালমুড়িতে কাটছে। বাইরে খেতে গেলে খরচ অনেক বেড়ে যায়। এভাবে কতদিন চলবে?”

এ বিষয়ে আব্দুল মালেক উকিল হলের ডাইনিং ম্যানেজার মো. ইয়াসিন মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় খোলার শুরুতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম থাকায় ডাইনিং চালু করা সম্ভব হয়নি। এত কম শিক্ষার্থী হলে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে।”

এ বিষয়ে হলটির প্রভোস্ট ড. মো. তসলিম মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, “সহকারী প্রভোস্টকে ডাইনিং চালুর বিষয়ে জানানো হয়েছিল। আগামী সপ্তাহে বৈঠকের মাধ্যমে ডাইনিং চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রতিবছরই ঈদের পর একই অবস্থা তৈরি হয়। তারা চান, প্রশাসন যেন স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেয়।