০২:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাঙালি প্রাণের উচ্ছ্বাসে চবিতে আনন্দ শোভাযাত্রা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বাঙালির প্রাণের বর্ষবরণ উৎসব ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩২’ উদযাপন উপলক্ষে ‘পহেলা বৈশাখে হোক অঙ্গীকার আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের অধিকার’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণ চত্বর থেকে শুরু হয়ে জারুলতলায় এসে এ শোভাযাত্রা শেষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সাধারণ জনতা অংশ নেয়।

নববর্ষে উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরমধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আমন্ত্রিত ব্যান্ড দল ‘সরলা’ এর পরিবেশনা, পুতুল নাচ, নাগরদোলা, বলি খেলা, বউচি খেলা এবং কাবাডি খেলা।

নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। তবে এ উৎসব ঘিরে যাতে কোন সাংস্কৃতিক বিকৃতি না ঘটে, সেদিকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আজকের বৈশাখের দিনে আমাদের উজ্জীবিত হতে হবে নিজস্ব সংস্কৃতির উন্নয়নে। দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, আমাদের সংস্কৃতিবানদের কাছে এমনটা দেখতে পাচ্ছি না। এদিনে শুধু একটিই গান শুনি- ‘এসো হে বৈশাখ’। কেন বৈশাখের উপরে কি দশবিশটা গান থাকতে পারে না?

তিনি আরো বলেন, নিজস্ব সংস্কৃতির চেতনায় যদি আমরা উদ্বুদ্ধ হতে চাই, নিজস্ব শেকড়ের গান রচনা করতে হবে। বৈশাখের চেতনা হচ্ছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ও সুস্থতার লালন করা।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

বাঙালি প্রাণের উচ্ছ্বাসে চবিতে আনন্দ শোভাযাত্রা

আপডেট সময় : ০১:৩৯:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বাঙালির প্রাণের বর্ষবরণ উৎসব ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩২’ উদযাপন উপলক্ষে ‘পহেলা বৈশাখে হোক অঙ্গীকার আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের অধিকার’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণ চত্বর থেকে শুরু হয়ে জারুলতলায় এসে এ শোভাযাত্রা শেষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সাধারণ জনতা অংশ নেয়।

নববর্ষে উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরমধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আমন্ত্রিত ব্যান্ড দল ‘সরলা’ এর পরিবেশনা, পুতুল নাচ, নাগরদোলা, বলি খেলা, বউচি খেলা এবং কাবাডি খেলা।

নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। তবে এ উৎসব ঘিরে যাতে কোন সাংস্কৃতিক বিকৃতি না ঘটে, সেদিকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আজকের বৈশাখের দিনে আমাদের উজ্জীবিত হতে হবে নিজস্ব সংস্কৃতির উন্নয়নে। দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, আমাদের সংস্কৃতিবানদের কাছে এমনটা দেখতে পাচ্ছি না। এদিনে শুধু একটিই গান শুনি- ‘এসো হে বৈশাখ’। কেন বৈশাখের উপরে কি দশবিশটা গান থাকতে পারে না?

তিনি আরো বলেন, নিজস্ব সংস্কৃতির চেতনায় যদি আমরা উদ্বুদ্ধ হতে চাই, নিজস্ব শেকড়ের গান রচনা করতে হবে। বৈশাখের চেতনা হচ্ছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ও সুস্থতার লালন করা।