০৬:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের কলঙ্কের ১৬ জুন আজ

১৯৭৫ সালের আজকের দিন ১৬ জুন বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। সে দিন বাকশাল সরকার কর্তৃক সংবাদপত্র ব্যবস্থাপনা আদেশ জারি করা হয়। চারটি দৈনিক পত্রিকা ও ১২৪ টি সাময়িকী ছাড়া সকল পত্র-পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়।
এর আগে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করেন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর তিনি ১৯৭৫ সালের ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ বাকশাল (বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ) গঠন করেন।
আজকের আওয়ামী লীগ মূলত এই বাকশালেরই ধারাবাহিকতা। গত ১৭ বছর যেভাবে গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ চলেছে এর একমাত্র তুলনা শুধু মুজিব আমলেই মেলে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি ও দৈনিক আমার দেশ এর মতো মিডিয়া। ভিন্নমতের সাংবাদিক হওয়ার কারণে দেশ ছাড়তে হয় ড. কনক সারোয়ার, মুশফিকুল ফজল আনসারী, ইলিয়াস হোসেন ও শাহেদ আলমসহ আরও অনেককে। দেশ ছাড়ার পরও নাম উল্লেখিত এই সাংবাদিকরা নিরাপদ ছিলেন না। এদের প্রত্যেকের কাছেই নিয়মিত প্রাণনাশের হুমকি আসত।
এখন গণতান্ত্রিক পরিবেশে আমরা চাই এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দ্রুত বিচার নিশ্চিত হোক। যারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিশ্বাসী নয়, তারা গণতন্ত্রেও বিশ্বাসী নয়। আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র তাই একসাথে টিকে থাকতে পারে না। গণমাধ্যমের ওপর ত্রাস চালানো দলটি এখনো তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য অনুতপ্ত নয়। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন না করে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ইতিহাস রচনা এজন্য একটি দুরহ কাজ।
জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামী লীগের কলঙ্কের ১৬ জুন আজ

আপডেট সময় : ০৪:১২:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
১৯৭৫ সালের আজকের দিন ১৬ জুন বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। সে দিন বাকশাল সরকার কর্তৃক সংবাদপত্র ব্যবস্থাপনা আদেশ জারি করা হয়। চারটি দৈনিক পত্রিকা ও ১২৪ টি সাময়িকী ছাড়া সকল পত্র-পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়।
এর আগে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করেন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর তিনি ১৯৭৫ সালের ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ বাকশাল (বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ) গঠন করেন।
আজকের আওয়ামী লীগ মূলত এই বাকশালেরই ধারাবাহিকতা। গত ১৭ বছর যেভাবে গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ চলেছে এর একমাত্র তুলনা শুধু মুজিব আমলেই মেলে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি ও দৈনিক আমার দেশ এর মতো মিডিয়া। ভিন্নমতের সাংবাদিক হওয়ার কারণে দেশ ছাড়তে হয় ড. কনক সারোয়ার, মুশফিকুল ফজল আনসারী, ইলিয়াস হোসেন ও শাহেদ আলমসহ আরও অনেককে। দেশ ছাড়ার পরও নাম উল্লেখিত এই সাংবাদিকরা নিরাপদ ছিলেন না। এদের প্রত্যেকের কাছেই নিয়মিত প্রাণনাশের হুমকি আসত।
এখন গণতান্ত্রিক পরিবেশে আমরা চাই এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দ্রুত বিচার নিশ্চিত হোক। যারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিশ্বাসী নয়, তারা গণতন্ত্রেও বিশ্বাসী নয়। আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র তাই একসাথে টিকে থাকতে পারে না। গণমাধ্যমের ওপর ত্রাস চালানো দলটি এখনো তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য অনুতপ্ত নয়। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন না করে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ইতিহাস রচনা এজন্য একটি দুরহ কাজ।