০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাকসুর নতুন গঠনতন্ত্র নিয়ে চবি ছাত্রদলের আপত্তি

বিশেষ গোষ্ঠীর প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ ও চাকসুর গঠনতন্ত্রে নানা ত্রুটি এমন শিরোনামে চবি ছাত্রদল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।

সোমবার (৪ আগস্ট) চবি ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমানের সাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত হয়।

বিজ্ঞপ্তিটিতে উল্লেখ করেন ‘ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সকল সাধারণ এবং রাজনীতি সচেতন শিক্ষার্থীর প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দু ছিল ছাত্রসংসদ নির্বাচন ও সুষ্ঠু ধারার ছাত্ররাজনীতি চর্চার সুযোগ নিশ্চিত করা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলও এর ব্যতিক্রম নয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলসহ ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাকসু আয়োজনের জন্য গঠনতন্ত্র সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করে। চাকসু নির্বাচনের জন্য প্রার্থীর যোগ্যতা নির্ধারণে সকল ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন ও মতাদর্শের শিক্ষার্থীদের ঐক্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে “হ্যাঁ/না” ভোটের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়কে বিবেচনায় আনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, সিন্ডিকেট অনুমোদিত গঠনতন্ত্রে প্রার্থীর যোগ্যতা হিসেবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পাশাপাশি এমফিল ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নরতদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তবে সেখানে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। চবি ছাত্রদল মনে করে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন ও রাজনীতি সচেতন শিক্ষার্থীদের মতকে অগ্রাহ্য করেছে। যা সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করবে না। একইসঙ্গে, প্রশাসন কোনো বিশেষ দলকে সুবিধা দিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি না, সে বিষয়ে আমরা গভীর সন্দেহ প্রকাশ করছি। তাছাড়া চাকসুর গঠনতন্ত্রে দপ্তর সম্পাদক ও সহ-দপ্তর সম্পাদক দুটো পদেই পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। যা চরম বৈষম্যমূলক। চবি ছাত্রদল মনে করে উক্ত পদটি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত।

আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন একপাক্ষিক সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করছি এবং উক্ত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু পক্ষপাতহীন নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে জোর দাবি জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গেল শুক্রবার (১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫৯তম সিন্ডিকেট সভায় চাকসুর নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদন দেওয়া হয়। চাকসু প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ছয়বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ওই বছরের ২২ ডিসেম্বর ছাত্রনেতা ফারুকুজ্জামান খুন হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাকসুর কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

চাকসুর নতুন গঠনতন্ত্র নিয়ে চবি ছাত্রদলের আপত্তি

আপডেট সময় : ০৬:০৮:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

বিশেষ গোষ্ঠীর প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ ও চাকসুর গঠনতন্ত্রে নানা ত্রুটি এমন শিরোনামে চবি ছাত্রদল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।

সোমবার (৪ আগস্ট) চবি ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমানের সাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত হয়।

বিজ্ঞপ্তিটিতে উল্লেখ করেন ‘ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সকল সাধারণ এবং রাজনীতি সচেতন শিক্ষার্থীর প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দু ছিল ছাত্রসংসদ নির্বাচন ও সুষ্ঠু ধারার ছাত্ররাজনীতি চর্চার সুযোগ নিশ্চিত করা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলও এর ব্যতিক্রম নয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলসহ ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাকসু আয়োজনের জন্য গঠনতন্ত্র সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করে। চাকসু নির্বাচনের জন্য প্রার্থীর যোগ্যতা নির্ধারণে সকল ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন ও মতাদর্শের শিক্ষার্থীদের ঐক্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে “হ্যাঁ/না” ভোটের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়কে বিবেচনায় আনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, সিন্ডিকেট অনুমোদিত গঠনতন্ত্রে প্রার্থীর যোগ্যতা হিসেবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পাশাপাশি এমফিল ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নরতদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তবে সেখানে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। চবি ছাত্রদল মনে করে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন ও রাজনীতি সচেতন শিক্ষার্থীদের মতকে অগ্রাহ্য করেছে। যা সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করবে না। একইসঙ্গে, প্রশাসন কোনো বিশেষ দলকে সুবিধা দিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি না, সে বিষয়ে আমরা গভীর সন্দেহ প্রকাশ করছি। তাছাড়া চাকসুর গঠনতন্ত্রে দপ্তর সম্পাদক ও সহ-দপ্তর সম্পাদক দুটো পদেই পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। যা চরম বৈষম্যমূলক। চবি ছাত্রদল মনে করে উক্ত পদটি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত।

আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন একপাক্ষিক সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করছি এবং উক্ত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু পক্ষপাতহীন নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে জোর দাবি জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গেল শুক্রবার (১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫৯তম সিন্ডিকেট সভায় চাকসুর নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদন দেওয়া হয়। চাকসু প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ছয়বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ওই বছরের ২২ ডিসেম্বর ছাত্রনেতা ফারুকুজ্জামান খুন হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাকসুর কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে।