০৯:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নানা আয়োজনে রাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের বর্ষপূর্তি। গতকাল ৫ আগস্ট (সোমবার) দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ছাত্রশিবির, সামাজিক সংগঠন ও সাংবাদিক সংগঠনগুলো।

সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন থেকে শুরু হয় বিজয় র‌্যালি। এতে উপাচার্য ড. সালেহ্ হাসান নকীবসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন। র‌্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপাচার্য বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল স্বৈরাচারবিরোধী ঐতিহাসিক মাইলফলক। এখন আমাদের ঐক্য ধরে রেখে দেশ গঠনে এগিয়ে যেতে হবে।”

বেলা ১২টায় হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবেশিত হয় বিজয় ফিস্ট। মেন্যুতে ছিল পোলাও, রোস্ট, ডিম ও ডাল।

একইদিন বিকেল ৪টায় ‘জুলাই জাগরণ, নব উদ্যমে বিনির্মাণ’ প্রতিপাদ্যে বিজয় মিছিল করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির। শাখা সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “আন্দোলনের সময় আমাদের ভাই শহীদ আলী রায়হান জীবন দিয়েছেন ছাত্রজনতাকে রক্ষা করতে। আমাদের ভূমিকা অস্বীকার করা অনুচিত।”

সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি। প্রেসক্লাব সভাপতি মনির হোসেন মাহিন বলেন, “দীর্ঘ দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনে প্রেসক্লাব ছিল শিক্ষার্থীদের আস্থার কেন্দ্র।”

দিনভর কর্মসূচিতে বাম ও বিএনপি ঘরানার সংগঠনগুলোর অনুপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনি আচরণ বিধি মেনেই বক্তব্য রাখলেন তারেক রহমান

নানা আয়োজনে রাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত

আপডেট সময় : ০১:০৯:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের বর্ষপূর্তি। গতকাল ৫ আগস্ট (সোমবার) দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ছাত্রশিবির, সামাজিক সংগঠন ও সাংবাদিক সংগঠনগুলো।

সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন থেকে শুরু হয় বিজয় র‌্যালি। এতে উপাচার্য ড. সালেহ্ হাসান নকীবসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন। র‌্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপাচার্য বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল স্বৈরাচারবিরোধী ঐতিহাসিক মাইলফলক। এখন আমাদের ঐক্য ধরে রেখে দেশ গঠনে এগিয়ে যেতে হবে।”

বেলা ১২টায় হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবেশিত হয় বিজয় ফিস্ট। মেন্যুতে ছিল পোলাও, রোস্ট, ডিম ও ডাল।

একইদিন বিকেল ৪টায় ‘জুলাই জাগরণ, নব উদ্যমে বিনির্মাণ’ প্রতিপাদ্যে বিজয় মিছিল করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির। শাখা সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “আন্দোলনের সময় আমাদের ভাই শহীদ আলী রায়হান জীবন দিয়েছেন ছাত্রজনতাকে রক্ষা করতে। আমাদের ভূমিকা অস্বীকার করা অনুচিত।”

সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি। প্রেসক্লাব সভাপতি মনির হোসেন মাহিন বলেন, “দীর্ঘ দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনে প্রেসক্লাব ছিল শিক্ষার্থীদের আস্থার কেন্দ্র।”

দিনভর কর্মসূচিতে বাম ও বিএনপি ঘরানার সংগঠনগুলোর অনুপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।