ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের ৪৩৯ নম্বর কক্ষে বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। নবীন শিক্ষার্থীদের গোলাপ ও রজনীগন্ধা ফুল, ডায়েরি, কলম ও চাবির রিং দিয়ে বরণ করা হয়।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রোউপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বেগম রোকসানা মিলি, বিভাগের শিক্ষক প্রভাষক তন্ময় সাহা জয় ও উজ্জ্বল হোসাইন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মতিনুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শান্ত শিশির ও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আফরিনা আমিন নদী।

বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “বিভাগে আপনারা সর্বোচ্চ পরিবারের মতো স্বীকৃতি পেয়েছেন। শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং বড় ভাইবোনেরা আপনার পাশে থাকবেন। কোনো সমস্যায় একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবেন। সীমিত পরিবেশের মধ্যেও চমৎকার আয়োজন করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করছি।”
সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মতিনুর রহমান বলেন, “কমিউনিকেশন, মাল্টিমিডিয়া ও জার্নালিজমের সমন্বয়ে গঠিত এই বিভাগ শিক্ষার্থীদের মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা সম্ভব হবে।”
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, “সাংবাদিকতা পেশা বিপজ্জনক হলেও গুরুত্বপূর্ণ। যারা এই বিষয়ে অধ্যয়ন করছে, তারা সঠিকভাবে পড়াশোনা করলে ভালো সাংবাদিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “সাংবাদিকতা দেশ, জাতি ও সমাজের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীরা সমাজের অন্তরালের খবর তুলে ধরবে, উন্নয়ন ও দূর্নীতির বিষয়গুলো তুলে ধরবে। পড়াশোনার গুরুত্ব অপরিসীম; এটি তাদের ভবিষ্যত গড়ে তুলবে।”
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বার্তা ছিল—পেশাগত দক্ষতা, সমাজ সচেতনতা এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে পড়াশোনা করা। নবীনবরণ অনুষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন অধ্যায়ের সূচনা এবং শিক্ষাজীবনের উদ্দেশ্যকে আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে।
এমআর/সবা


























