চট্টগ্রাম বন্দরে আজ (১৪ অক্টোবর রাত ১২টা থেকে) কার্যকর হচ্ছে বর্ধিত ট্যারিফ, যা ব্যবসায়ী ও বন্দর ব্যবহারকারীদের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও কার্যকর হচ্ছে। বন্দরের ট্যারিফ গত এক মাস স্থগিত রাখা হয়েছিল নৌ–পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশনায়।
বন্দর কর্তৃপক্ষ ট্যারিফ গড়ে ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। তবে ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, কিছু ক্ষেত্রে ট্যারিফ ৪শ’ গুণ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডলিংসহ মোট ৫২টি খাতে ট্যারিফ আদায় হয়। এর মধ্যে ২৩টি খাতে নতুন হারে ট্যারিফ কার্যকর হচ্ছে। প্রতি ডলারের বিনিময় হার ধরা হয়েছে ১২২ টাকা এবং ডলারের হার বাড়লে ট্যারিফ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি পাবে।
কন্টেনার হ্যান্ডলিং খাতে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি হয়েছে। ২০ ফুটি কন্টেনারের ট্যারিফ ধরা হয়েছে ১৬,২৪৩ টাকা, যা আগে ছিল ১১,৮৪৯ টাকা। এতে আমদানি কন্টেনারে ৫,৭২০ টাকা, রপ্তানি কন্টেনারে ৩,০৪৫ টাকা বেশি খরচ হবে। প্রতিটি কন্টেনার ওঠানামাতেও প্রায় ৩,০০০ টাকা বাড়তি খরচ যুক্ত হবে। এতে সামগ্রিক হারে ২৫ থেকে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি হবে।
ব্যবসায়ী ও বন্দর ব্যবহারকারীরা বর্ধিত ট্যারিফ অন্তত এক বছরের জন্য স্থগিত রাখার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। রোববার চট্টগ্রামে ব্যবসায়ী নেতাদের সমাবেশেও এ দাবি উত্থাপন করা হয়েছিল। বিদেশি শিপিং কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যেই সারচার্জ ঘোষণা করেছে। ব্যবসায়ী নেতারা মন্তব্য করেছেন, হুট করে এতো বিপুল ট্যারিফ বৃদ্ধি দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ব্যয় সামলানোর জন্য ট্যারিফ বৃদ্ধি জরুরি। আজ মধ্যরাত থেকে বন্দরে আসা সব জাহাজ, কন্টেনার ও কার্গো নতুন হারে মাশুল পরিশোধ করবে। শিপিং এজেন্টদের তফসিলি ব্যাংকে যথাযথ অর্থের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে।
এমআর/সবা


























