শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) রবিবার (১৪ ডিসেম্বর ২০২৫) ‘মুক্তচিন্তা, মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি। দেশের সংকটকাল অতিক্রম করতে সত্যিকার বুদ্ধিজীবীদের দায়িত্বশীল ও সাহসী ভূমিকা অপরিহার্য। তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন উপাচার্য। এরপর শোক র্যালি বের হয়ে চবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শেষ হয়।
পরবর্তী আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ কামাল উদ্দিনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবীর আত্মত্যাগ, মুক্তিযুদ্ধ ও ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনসহ জাতীয় ইতিহাসের সঠিক চর্চার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
চবি ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান প্রবন্ধে বলেন, একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যা ছিল সুপরিকল্পিত ও টার্গেটেড কিলিং, যা বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার অংশ ছিল।
সভায় শহীদদের সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং চবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ আবু দাউদ মুহাম্মদ মামুন শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠান শুরুর আগে পবিত্র কোরআন, গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল থেকে পাঠের আয়োজন করা হয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়, কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল মসজিদে, উপাসনালয়ে ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ বুদ্ধিজীবীর আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।


























