চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও তার বাগদত্তাকে মারধরের পর ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রবিবার রাতে ক্যাম্পাসের লেডিস ঝুপড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, রবিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডিস ঝুপড়িতে তার বাগত্তার সঙ্গে কথা বলার সময় দুজন মুখোশধারী ব্যক্তি অযাচিত কথাবার্তা এবং প্রশ্ন করতে থাকেন। একপর্যায়ে গালাগালি এবং একজন বাজেভাবে স্পর্শ করা শুরু করে। ফোনের পাসওয়ার্ড না দেওয়ায় দুইজনকে মারধর করে। একপর্যায়ে সঙ্গে থাকা তিনটি মোবাইল ও পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে মুখোশধারীরা পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় সোমবার বিকালে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ তিন সদস্যের তদন্ত গঠন করেন। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক চবি সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর, সদস্য সচিব সহকারী প্রক্টর নাজিমুল আলম মুরাদ, সদস্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নাজনীন নাহার ইসলাম।
তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. নাজনীন নাহার ইসলাম বলেন, ‘এখনো লিখিত চিঠি হাতে পাইনি। রেজিস্ট্রার মহোদয় এ বিষয়ে টেলিফোনে আমাকে জানিয়েছেন। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আমরা যথা সময়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার চেষ্টা করব।’

























