দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ৫২ টি ভোট কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত
হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ
যা বিরামহীন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে ভোটে প্রচণ্ড শীত ও ঘনকুয়াশা
উপেক্ষা করে স্বতঃষ্ফূর্তভাবে ভোট দিতে কেন্দ্রে আসছেন ভোটাররা। যা লক্ষ্যনীয়।
সকাল থেকেই কুশার চাঁদরে ঢেকে আছে পুরো উপজেলা। এ জেলার
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘনকুশায়াকে ভেদ করে উঁকি
দেয়ার কোনো সুযোগ পাচ্ছে না সূয্য। তাই সকাল ১০ টা ১৫ তেও মিলেনি
সূর্য্যরে দেখা। কিন্তু ভোট উৎসবকে আটকে রাখতে পারছে না ঘনকুয়াশা।
ভোটারা শীতের কাপড়ে নিজেদের জড়িয়ে আসছেন ভোট কেন্দ্রগুলোতে। এমনি
চিত্র দেখা গেছে পৌর এলাকার ফুলকুঁড়ি বিদ্যানিকেতন, বাংলা সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মহিলা কলেজ ভোট কেন্দ্রে।
১০ দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর) নির্বাচনী আসনে প্রতিদ্ব›দ্ধীতা
করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রাথমিক ও
গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক
গণশিক্ষা মন্ত্রী ও দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্ষিয়ান
রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি, জাতীয়
পার্টি মনোনীত প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে অ্যাড. নূরুল ইসলাম, ন্যাশনাল
পিপলস পার্টির (এনপিপি) মনোনীত প্রার্থী আম প্রতীক নিয়ে মো. শওকত
আলী, স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীক নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল
ডা. তোজাম্মেল হক, ট্রাক প্রতীক নিয়ে পার্বতীপুর উপজেলার এক ইউনিয়ন
আওয়ামী লীগ কর্মী মো. হযরত আলী বেলাল।
সকাল সাড়ে ৯টায় ফুলবাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজে স্বপরিবারে ভোট
প্রয়োগ করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি,
সাবেক গণশিক্ষা মন্ত্রী ও দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্ষিয়ান
রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি। এসময়
তার সহধর্মীনী রেজিনা রহমান, জ্যেষ্ঠ কন্যা ফারহানা রহমান মুক্তা, কনিষ্ঠ কন্যা
ফারজানা রহমান শিমলাসহ তার নাতী ভোট প্রয়োগ করেন।
এ উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার ৪১ জন। এর মধ্যে পুরুষ
ভোটার রয়েছে ৭৪ হাজার ৮১৬ জন, নারী ভোটার ৭৫ হাজার ২২৪ জন এবং তৃতীয়
লিঙ্গের ১ জন ভোটার রয়েছেন। উল্লেখযোগ্য মুসলিম ভোটার রয়েছে ১ লাখ ২৪
হাজার ২৮০ জন, হিন্দু ভোটার রয়েছে ২১ হাজার ৭০৯ জন এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ
অন্যান্য ধর্মাবলম্বী রয়েছেন ৪ হাজার ৫২ জন।
পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে নির্বাচনী এলাকায় দুইজন নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট, একজন জুডিশিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও
আনাসার কাজ করছে।
প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা ফুলবাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজ ভোট কেন্দ্রে
ভোট দিতে আসা ষাটোর্ধ্ব নারী লুৎফা বেগম বলেন, ভোট একটি উৎসব। আমার
জীবনে কখনো ভোট বাদ যায়নি। ভোটার হওয়ার পর থেকে সব কয়টি নির্বাচনেই
ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়েছি। আমাদের উত্তরাঞ্চলে শীত একটু বেশিই থাকে।
তাই শীতকে উপেক্ষা করেই ভোট দিতে এসেছি। খুবই ভালো লাগছে সকাল সকাল
এসে ভোট দিতে পেরেছি। এখন গিয়ে বাসার অন্যান্য সদস্যদেরকেও ভোট দিতে
পাঠাবো।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো.
আল কামাহ্ধসঢ়; তমাল বলেন, অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করতে
সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।




















