০৭:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রূপগঞ্জে শীতের সবজির বাম্পার ফলন

মৃদু শীতের শুভ্র কুয়াশার চাদর উপেক্ষা করে সবজি চাষে মত্ত কৃষক। ক্রমেই বাড়ছে
শীতের পদধ্বনি। লতা-পাতা আর ঘাসে চকচক করছে ভোরের
শিশির। মাঠে মাঠে সবুজ সবজির বাহারি খেলা।
টমেটো, আলু, কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকটি, শীম, লাউ,
করলা, ও ধনেপাতার গন্ধে আমোদ চারদিক। সবুজের
সমারোহে একাকার মাঠের পর মাঠ। মাঠে মাঠে নতুন
সবজির সমারোহ প্রকৃতিকে জানান দিয়েছে শীত
আসছে। শীতের আগমনী বার্তায় সবজি ফলাতে ব্যস্থতা
বেড়েছে রূপগঞ্জের চাষিদের মাঝে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি
মৌসুমে সবজির চাষ হবে ২৫০০ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষমাত্রা
ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। গত বছর
উপজেলায় সবজি চাষ হয়েছিল ২৪ হাজার ৩০০ হেক্টর
জমিতে। এর বিপরীতে উৎপাদন হয়েছিল ৫১ হাজার ৩৪০
মেট্রিক টন। কৃষি অফিস বলছে কোন কোন এলাকায়
আগাম জাতের সবজি চাষ শেষ করে বাজারে বিক্রি শুরু
হয়েছে। উপজেলায় আগাম জাতের শীতের সবজি ফুল
কপি, বাঁধা কপি, লাল শাক, মুলা বাজারে উঠেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রূপগঞ্জের দাউদপুর,
ভোলাবো, গোলাকান্দাইল, মুড়াপাড়ার ৪০ গ্রামের চাষীরা
শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কোথাও
চাষ হয়েছে আগামজাতের শীতের সবজি, আবার কোথাও
জমি ও বীজ তৈরির কাজ। মাঠে মাঠে কৃষকরা চাষকৃত
শীতকালীন সবজির আগাছা পরিষ্কার করছেন। কেউবা
আবার আগামজাতের শীত সবজি বাজারে বিক্রির
প্রস্তুতি নিয়েছে। কথা হয় বাগলা গ্রামের সবজি চাষী
রকমতুল্লাহ মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, মূল শীতকালীন
সবজি এখনো বাজারে ওঠেনি। তবে আগামজাতের
কিছু কিছু সবজি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ঠিকই তবে
দাম বেশি গুণতে হচ্ছে। তিনি এবার নানা জাতের সবজি
চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভাল সবজির ফলন
পাবেন। বাগবাড়ী এলাকার সবজি চাষী ধলু মিয়া বলেন,
দাউদপুর ইউনিয়নের জিন্দা, কুলুপ, বাগলাসহ ৩০ টি
গ্রামের কৃষকের প্রধান আবাদযোগ্য ফসল নানা জাতের
সবজি। কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বাগবাড়ি, দেইলপাড়া,
তালাশকুর, দক্ষিণপাড়া এলাকার কৃষকরাও শীতের সবজি
আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বছরজুড়েই এসব গ্রামে
বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ হয়ে থাকে। দেইলপাড়া
গ্রামের সবজি চাষী আক্কাস আলী বলেন, এইবার বাজান
সবজি ভালাই অইছে। ব্যবসাও অইবো মনে অইতাছে।
এইবার দুই বিঘার মধ্যে ফুলকপি, বাধাকপি আর লাল শাক
বুনছি। কয়েকদিনের মধ্যেই বাজারে বেচবার পারমু।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা নূর বলেন, আশা করা
যাচ্ছে এবার শীতের সবজির বাম্পার ফলন হবে। আবহাওয়া
এবার সবজির জন্য অনুকূলে।

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে শীতের সবজির বাম্পার ফলন

আপডেট সময় : ০৩:৩৪:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪

মৃদু শীতের শুভ্র কুয়াশার চাদর উপেক্ষা করে সবজি চাষে মত্ত কৃষক। ক্রমেই বাড়ছে
শীতের পদধ্বনি। লতা-পাতা আর ঘাসে চকচক করছে ভোরের
শিশির। মাঠে মাঠে সবুজ সবজির বাহারি খেলা।
টমেটো, আলু, কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকটি, শীম, লাউ,
করলা, ও ধনেপাতার গন্ধে আমোদ চারদিক। সবুজের
সমারোহে একাকার মাঠের পর মাঠ। মাঠে মাঠে নতুন
সবজির সমারোহ প্রকৃতিকে জানান দিয়েছে শীত
আসছে। শীতের আগমনী বার্তায় সবজি ফলাতে ব্যস্থতা
বেড়েছে রূপগঞ্জের চাষিদের মাঝে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি
মৌসুমে সবজির চাষ হবে ২৫০০ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষমাত্রা
ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। গত বছর
উপজেলায় সবজি চাষ হয়েছিল ২৪ হাজার ৩০০ হেক্টর
জমিতে। এর বিপরীতে উৎপাদন হয়েছিল ৫১ হাজার ৩৪০
মেট্রিক টন। কৃষি অফিস বলছে কোন কোন এলাকায়
আগাম জাতের সবজি চাষ শেষ করে বাজারে বিক্রি শুরু
হয়েছে। উপজেলায় আগাম জাতের শীতের সবজি ফুল
কপি, বাঁধা কপি, লাল শাক, মুলা বাজারে উঠেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রূপগঞ্জের দাউদপুর,
ভোলাবো, গোলাকান্দাইল, মুড়াপাড়ার ৪০ গ্রামের চাষীরা
শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কোথাও
চাষ হয়েছে আগামজাতের শীতের সবজি, আবার কোথাও
জমি ও বীজ তৈরির কাজ। মাঠে মাঠে কৃষকরা চাষকৃত
শীতকালীন সবজির আগাছা পরিষ্কার করছেন। কেউবা
আবার আগামজাতের শীত সবজি বাজারে বিক্রির
প্রস্তুতি নিয়েছে। কথা হয় বাগলা গ্রামের সবজি চাষী
রকমতুল্লাহ মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, মূল শীতকালীন
সবজি এখনো বাজারে ওঠেনি। তবে আগামজাতের
কিছু কিছু সবজি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ঠিকই তবে
দাম বেশি গুণতে হচ্ছে। তিনি এবার নানা জাতের সবজি
চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভাল সবজির ফলন
পাবেন। বাগবাড়ী এলাকার সবজি চাষী ধলু মিয়া বলেন,
দাউদপুর ইউনিয়নের জিন্দা, কুলুপ, বাগলাসহ ৩০ টি
গ্রামের কৃষকের প্রধান আবাদযোগ্য ফসল নানা জাতের
সবজি। কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বাগবাড়ি, দেইলপাড়া,
তালাশকুর, দক্ষিণপাড়া এলাকার কৃষকরাও শীতের সবজি
আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বছরজুড়েই এসব গ্রামে
বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ হয়ে থাকে। দেইলপাড়া
গ্রামের সবজি চাষী আক্কাস আলী বলেন, এইবার বাজান
সবজি ভালাই অইছে। ব্যবসাও অইবো মনে অইতাছে।
এইবার দুই বিঘার মধ্যে ফুলকপি, বাধাকপি আর লাল শাক
বুনছি। কয়েকদিনের মধ্যেই বাজারে বেচবার পারমু।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা নূর বলেন, আশা করা
যাচ্ছে এবার শীতের সবজির বাম্পার ফলন হবে। আবহাওয়া
এবার সবজির জন্য অনুকূলে।