১০:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভূঞাপুরে প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো বটগাছ সংরক্ষণের দাবি এলাকাবাসীর 

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় এবার সন্ধান মিলেছে প্রায় ৩০০ বছরের প্রাচীন একটি বটগাছের। গাছটিকে ঘিরে মানুষের যেন কৌতূহলের অন্ত নেই। রহস্যঘেরা বটগাছটিকে কখন কীভাবে রোপন করা হয়েছে তার সঠিক ইতিহাস জানা নেই কারো। তবে, গাছটিকে ঘিরে রয়েছে অসংখ্য রূপকথার গল্প। রয়েছে অলৌকিক ঘটনাও!
গাছের সঙ্গেই লাগোয়া ছোট দিঘি। সেই দিঘি নিয়েও রয়েছে রূপকথার গল্প। এর মধ্যে রয়েছে স্বর্ণের নৌকা এবং থালা-বাসন ভেসে আসার গল্প।   গাছটিকে ঘিরে গা শিউরে উঠার মতো অসংখ্য অলৌকিক ঘটনা পূর্ব-পুরুষদের কাছ থেকে শুনে আসছে এলাকার লোকজন। এজন্য গাছটি যেমনি তাদের কাছে ভয়ের মনে হয় ঠিক তেমনি রহস্যঘেরাও।  বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বয়ে গেলেও গাছটি ছিল অক্ষত। তবে, এখন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে গাছটির সৌন্দর্য অনেকটাই হারিয়ে যাচ্ছে। তবে, নতুন প্রজন্মের কাছে গাছটি এখন ইতিহাস বা স্মৃতিচিহ্ন হিসেবেই  রয়েছে।
ভূঞাপুর উপজেলার পশ্চিমে গোবিন্দাসী ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের বাগবাড়ী গ্রামের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মরহুম মীর মোয়াজ্জেম হোসেন দুদু মিয়ার বাড়ীর পাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে এ বটগাছটি। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ওই এলাকার অনেক ইতিহাস-ঐতিহ্য।
গভীর রাতে বটগাছটির সামনে দিয়ে চলাফেরা করতে অনেকেই ভয় পায়। তবে, গাছের দ্বারা কারো কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।  প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো এই বটগাছটির স্মৃতিচিহ্ন ধরে রাখার দাবিও জানিয়েছেন তারা। আরো বলেন  গাছটির চারপাশে মাটি দিয়ে ভরাট করে দিলে গাছটি আরো দীর্ঘ কাল  মানব সমাজের জন্য  অক্সিজেন আর পশুপাখির বাসস্থান জোগাবে।
বাগবাড়ী গ্রামের মাহমুদুল হাসান বলেন, “বটগাছটি একটি ইতিহাস  রয়েছে।  আগে কারও বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠান হলে এই  দিঘিতে ভোর রাতে কেউ এসে সাহায্য চাইলে থালা-বাসন ভেসে আসতো। অনুষ্ঠানের শেষে ভালো ভাবে পরিষ্কার করে আবার রাতে ঐ দীঘির পাড়ে দিয়ে আসলে উধাও হয়ে যেত। হঠাৎ একদিন কেউ একজন একটি থালা নিজের কাছে রেখে দেয়। এরপর থেকে আর কখনো থালা-বাসন আসেনি। এ গল্প অনেক বছর আগের। এ গাছটি আমাদের বাড়ির ঐতিহ্যবহন করে আসছে। উপজেলা প্রশাসনের কাছে জোড় দাবি গাছটি দ্রুত সংরক্ষণের ব্যবস্থা করুন।”
এই গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য শাজাহান আলী সাজু বলেন,   “গাছটি অনেক বছরের পুরনো। প্রায় ৩০০ বছর আগের হবে। স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে ধরে রাখতে গাছটি সংরক্ষণ করা দরকার।”
জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

ভূঞাপুরে প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো বটগাছ সংরক্ষণের দাবি এলাকাবাসীর 

আপডেট সময় : ০৩:২৩:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় এবার সন্ধান মিলেছে প্রায় ৩০০ বছরের প্রাচীন একটি বটগাছের। গাছটিকে ঘিরে মানুষের যেন কৌতূহলের অন্ত নেই। রহস্যঘেরা বটগাছটিকে কখন কীভাবে রোপন করা হয়েছে তার সঠিক ইতিহাস জানা নেই কারো। তবে, গাছটিকে ঘিরে রয়েছে অসংখ্য রূপকথার গল্প। রয়েছে অলৌকিক ঘটনাও!
গাছের সঙ্গেই লাগোয়া ছোট দিঘি। সেই দিঘি নিয়েও রয়েছে রূপকথার গল্প। এর মধ্যে রয়েছে স্বর্ণের নৌকা এবং থালা-বাসন ভেসে আসার গল্প।   গাছটিকে ঘিরে গা শিউরে উঠার মতো অসংখ্য অলৌকিক ঘটনা পূর্ব-পুরুষদের কাছ থেকে শুনে আসছে এলাকার লোকজন। এজন্য গাছটি যেমনি তাদের কাছে ভয়ের মনে হয় ঠিক তেমনি রহস্যঘেরাও।  বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বয়ে গেলেও গাছটি ছিল অক্ষত। তবে, এখন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে গাছটির সৌন্দর্য অনেকটাই হারিয়ে যাচ্ছে। তবে, নতুন প্রজন্মের কাছে গাছটি এখন ইতিহাস বা স্মৃতিচিহ্ন হিসেবেই  রয়েছে।
ভূঞাপুর উপজেলার পশ্চিমে গোবিন্দাসী ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের বাগবাড়ী গ্রামের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মরহুম মীর মোয়াজ্জেম হোসেন দুদু মিয়ার বাড়ীর পাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে এ বটগাছটি। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ওই এলাকার অনেক ইতিহাস-ঐতিহ্য।
গভীর রাতে বটগাছটির সামনে দিয়ে চলাফেরা করতে অনেকেই ভয় পায়। তবে, গাছের দ্বারা কারো কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।  প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো এই বটগাছটির স্মৃতিচিহ্ন ধরে রাখার দাবিও জানিয়েছেন তারা। আরো বলেন  গাছটির চারপাশে মাটি দিয়ে ভরাট করে দিলে গাছটি আরো দীর্ঘ কাল  মানব সমাজের জন্য  অক্সিজেন আর পশুপাখির বাসস্থান জোগাবে।
বাগবাড়ী গ্রামের মাহমুদুল হাসান বলেন, “বটগাছটি একটি ইতিহাস  রয়েছে।  আগে কারও বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠান হলে এই  দিঘিতে ভোর রাতে কেউ এসে সাহায্য চাইলে থালা-বাসন ভেসে আসতো। অনুষ্ঠানের শেষে ভালো ভাবে পরিষ্কার করে আবার রাতে ঐ দীঘির পাড়ে দিয়ে আসলে উধাও হয়ে যেত। হঠাৎ একদিন কেউ একজন একটি থালা নিজের কাছে রেখে দেয়। এরপর থেকে আর কখনো থালা-বাসন আসেনি। এ গল্প অনেক বছর আগের। এ গাছটি আমাদের বাড়ির ঐতিহ্যবহন করে আসছে। উপজেলা প্রশাসনের কাছে জোড় দাবি গাছটি দ্রুত সংরক্ষণের ব্যবস্থা করুন।”
এই গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য শাজাহান আলী সাজু বলেন,   “গাছটি অনেক বছরের পুরনো। প্রায় ৩০০ বছর আগের হবে। স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে ধরে রাখতে গাছটি সংরক্ষণ করা দরকার।”