১১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রায়গঞ্জে অনাবাদি জমিতে কার্পস তুলা চাষে কৃষকেরা স্বাবলম্বী

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতী নদী। নদীর তীরের চরাঞ্চলের অনাবাদি ফেলে রাখা জমি গুলোতে তুলা চাষ করে আশার আলো খুঁজে পাচ্ছে কালিন্জা ও বারইভাগ গ্রামের কৃষকেরা।

স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের কালিন্জা ও বারইভাগ গ্রামের ইছামতী ও ফুলজোড় নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের জমি গুলো দীর্ঘদিন ধরে অনাবাদি অবস্থায় পড়ে ছিল। জমি গুলোতে কোনো শষ্য চাষাবাদ করা হতো না। পরে স্থানীয় তুলা উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ অনাবাদি ও প্রতিত পরে থাকা জমি গুলোতে তুলা চাষের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেন।

কালিন্জা গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, নদীর তীরে আমার দুইটি জমি অনাবাদি হিসেবেই পরে থাকতো, কোনো শষ্য চাষাবাদ করা হতো না, এখন তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় প্রতিত,ফেলে রাখা জমিতে তুলা চাষ করে অনেক আর্থিক লাভবান হতে পেরেছি পাশাপাশি জমিগুলো আর প্রতিত বা অনাবাদি হিসেবে ফেলে রাখতে হচ্ছে না।

কৃষক আকবর আলী বলেন, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় এ বছর অনাবাদি ৩ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছি। তুলা চাষে খরচ অনেক কম। আবহাওয়া ভালো থাকায় তুলার ফলন অনেক ভালো হয়েছে। ৩ বিঘা জমিতে তুলা চাষে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি ১৪-১৫ মন তুলা বিক্রি করতে পারবো,যার বাজার মূল্য ৪০-৪৫ হাজার টাকা হবে। তুলা চাষে বেশি লাভ জনক হওয়ায় এখান কার কৃষক অনাবাদি জমি গুলোতে তুলা চাষ করছে।

বারইভাগ গ্রামের তুলা চাষী শহিদুল ইসলাম বলেন, গত বছরে ১ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি। তাই এ বছরও ২ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছি।

প্রতি বিঘা জমিতে তুলা চাষ করতে ৫-৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়। ফলন হয় বিঘা প্রতি ১০-১২ মন তুলা, যার বাজার মুল্য ৩৫-৪০ হাজার টাকা। কাজেই লাভজনক হওয়ায় তুলা চাষে অনেক কৃষকেরা ঝুঁকে পড়েছে।

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী কর্মকর্তা উজ্জল চন্দ্র বলেন, অনাবাদি ও প্রতিত পরে থাকা জমিতে তুলা চাষের জন্য কৃষকদের শুধু উৎসাহিত করা হয়নি, তুলা চাষের জন্য কৃষকদের সার, বীজ, কীটনাশক সহ নানামুখী প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। কৃষকেরা যেনো অনাবাদি জমিতে তুলা চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারে সেদিকে আমরা সার্বক্ষনিক চেষ্টা করে যাচ্ছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বলেন, তুলা চাষে প্রধান ভুমিকায় রয়েছে বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ডের, অনাবাদি জমি গুলোতে তুলা চাষের জন্য আমরা কৃষকদের নানা মুখি সহযোগীতা দিয়ে আসছি। কৃষকের কোনো জমি যেনো অনাবাদি,প্রতিত পরে না থাকে সেদিতে লক্ষ করে কৃষকদের আমরা সার,বীজ, কীটনাশকসহ সকল প্রকার সহযোগিতা করে যাচ্ছি। এতে অনাবাদি জমি গুলোতে তুলা চাষ করে অনেক কৃষক লাভবান হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

রায়গঞ্জে অনাবাদি জমিতে কার্পস তুলা চাষে কৃষকেরা স্বাবলম্বী

আপডেট সময় : ১১:২৮:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতী নদী। নদীর তীরের চরাঞ্চলের অনাবাদি ফেলে রাখা জমি গুলোতে তুলা চাষ করে আশার আলো খুঁজে পাচ্ছে কালিন্জা ও বারইভাগ গ্রামের কৃষকেরা।

স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের কালিন্জা ও বারইভাগ গ্রামের ইছামতী ও ফুলজোড় নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের জমি গুলো দীর্ঘদিন ধরে অনাবাদি অবস্থায় পড়ে ছিল। জমি গুলোতে কোনো শষ্য চাষাবাদ করা হতো না। পরে স্থানীয় তুলা উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ অনাবাদি ও প্রতিত পরে থাকা জমি গুলোতে তুলা চাষের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেন।

কালিন্জা গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, নদীর তীরে আমার দুইটি জমি অনাবাদি হিসেবেই পরে থাকতো, কোনো শষ্য চাষাবাদ করা হতো না, এখন তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় প্রতিত,ফেলে রাখা জমিতে তুলা চাষ করে অনেক আর্থিক লাভবান হতে পেরেছি পাশাপাশি জমিগুলো আর প্রতিত বা অনাবাদি হিসেবে ফেলে রাখতে হচ্ছে না।

কৃষক আকবর আলী বলেন, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় এ বছর অনাবাদি ৩ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছি। তুলা চাষে খরচ অনেক কম। আবহাওয়া ভালো থাকায় তুলার ফলন অনেক ভালো হয়েছে। ৩ বিঘা জমিতে তুলা চাষে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি ১৪-১৫ মন তুলা বিক্রি করতে পারবো,যার বাজার মূল্য ৪০-৪৫ হাজার টাকা হবে। তুলা চাষে বেশি লাভ জনক হওয়ায় এখান কার কৃষক অনাবাদি জমি গুলোতে তুলা চাষ করছে।

বারইভাগ গ্রামের তুলা চাষী শহিদুল ইসলাম বলেন, গত বছরে ১ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি। তাই এ বছরও ২ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছি।

প্রতি বিঘা জমিতে তুলা চাষ করতে ৫-৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়। ফলন হয় বিঘা প্রতি ১০-১২ মন তুলা, যার বাজার মুল্য ৩৫-৪০ হাজার টাকা। কাজেই লাভজনক হওয়ায় তুলা চাষে অনেক কৃষকেরা ঝুঁকে পড়েছে।

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী কর্মকর্তা উজ্জল চন্দ্র বলেন, অনাবাদি ও প্রতিত পরে থাকা জমিতে তুলা চাষের জন্য কৃষকদের শুধু উৎসাহিত করা হয়নি, তুলা চাষের জন্য কৃষকদের সার, বীজ, কীটনাশক সহ নানামুখী প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। কৃষকেরা যেনো অনাবাদি জমিতে তুলা চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারে সেদিকে আমরা সার্বক্ষনিক চেষ্টা করে যাচ্ছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বলেন, তুলা চাষে প্রধান ভুমিকায় রয়েছে বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ডের, অনাবাদি জমি গুলোতে তুলা চাষের জন্য আমরা কৃষকদের নানা মুখি সহযোগীতা দিয়ে আসছি। কৃষকের কোনো জমি যেনো অনাবাদি,প্রতিত পরে না থাকে সেদিতে লক্ষ করে কৃষকদের আমরা সার,বীজ, কীটনাশকসহ সকল প্রকার সহযোগিতা করে যাচ্ছি। এতে অনাবাদি জমি গুলোতে তুলা চাষ করে অনেক কৃষক লাভবান হচ্ছে।