০৭:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তাড়াশে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় কম সময়ে অধিক ফলনে খিরা চাষে লাভবান কৃষক

আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আর কম সময়ে অধিক ফলন ও দাম ভাল পাওয়ায় তাড়াশে খিরা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। তাই খিরা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।  অল্প সময়ে ফলন পেয়ে ভালো লাভ হওয়ায় খিরা আবাদে কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। খিরা লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই এর আবাদ বাড়ছে বলছেন কৃষি কমকর্তা। তাড়াশের বারুহাস ইউনিয়নের দিঘড়িয়া গ্রামের বর্গা চাষী ক্ষুদ্র কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, গত বছর ১০ শতাংশ জমি খিরা বিক্রি করে বেশ লাভ হয়েছিল। এ বছর আরও ৩০ শতাংশ জমি বর্গা নিয়ে খিরার চাষ করেছেন। ফলন খুবই ভালো হচ্ছে, দামও ভালো যাচ্ছে।
সান্দ্রা গ্রামের কৃষক জুয়েল বলেন, আমি  তিন বছর ধরে খিরার চাষ করে আসছি। আগে এই আবাদ কম হতো। কিন্তু অন্যান্য ফসলের চেয়ে খিরা চাষে অধিক লাভের কারণে প্রতি বছর আগ্রহ বাড়ছে।
খিরা চাষীরা বলেন, প্রতিমণ খিরা পাইকারি বিক্রি করছেন ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায়। অনুরূপ দাম পাওয়া গেলে এক বিঘা জমির খিরা ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকার বিক্রি করা যাবে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, চাষীরা সকাল থেকে খিরা তুলতে শুরু করেছেন। আগে যে সব জমি পতিত পড়ে থাকতো। অধিকাংশ জমিতে খিরার আবাদ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন দৈনিক সবুজ বাংলা কে বলেন, মাঠ পর্যায়ে খিরা চাষীদের মরামর্শ দেওয়া হয়। এ বছরও খিরার আবাদে কোনো রোগবালাই নেই। মাত্র ৫০ থেকে ৬০ দিনেই অধিক ফলন পাওয়া যায়। তাই শীতের মৌসুমে খিরা চাষে আগ্রহী হন এখানকার কৃষকরা। রোপণের মাত্র ২ মাসের মধ্যেই ফলন উত্তোলন শেষ করা হয়। বিঘা প্রতি ১০/১২ হাজার টাকা খরচ করে খেত বিশেষে বিক্রি করা যায় ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা। গত বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে খিরার আবাদ হয়েছে। তিন ফসলি জমিগুলোতে ধান চাষের আগে খিরা আবাদ করে বাড়তি এ লাভ কৃষকদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে। তাই এ অঞ্চলের চাষিদের মধ্যে বেড়েছে খিরার আবাদ। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের দিঘড়িয়া গিয়ে খিরা কিনে দেশের ঢাকাসহ বিভিন্ন হাটবাজারে খুচরা এবং পাইকারি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

তাড়াশে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় কম সময়ে অধিক ফলনে খিরা চাষে লাভবান কৃষক

আপডেট সময় : ০৬:০৮:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আর কম সময়ে অধিক ফলন ও দাম ভাল পাওয়ায় তাড়াশে খিরা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। তাই খিরা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।  অল্প সময়ে ফলন পেয়ে ভালো লাভ হওয়ায় খিরা আবাদে কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। খিরা লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই এর আবাদ বাড়ছে বলছেন কৃষি কমকর্তা। তাড়াশের বারুহাস ইউনিয়নের দিঘড়িয়া গ্রামের বর্গা চাষী ক্ষুদ্র কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, গত বছর ১০ শতাংশ জমি খিরা বিক্রি করে বেশ লাভ হয়েছিল। এ বছর আরও ৩০ শতাংশ জমি বর্গা নিয়ে খিরার চাষ করেছেন। ফলন খুবই ভালো হচ্ছে, দামও ভালো যাচ্ছে।
সান্দ্রা গ্রামের কৃষক জুয়েল বলেন, আমি  তিন বছর ধরে খিরার চাষ করে আসছি। আগে এই আবাদ কম হতো। কিন্তু অন্যান্য ফসলের চেয়ে খিরা চাষে অধিক লাভের কারণে প্রতি বছর আগ্রহ বাড়ছে।
খিরা চাষীরা বলেন, প্রতিমণ খিরা পাইকারি বিক্রি করছেন ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায়। অনুরূপ দাম পাওয়া গেলে এক বিঘা জমির খিরা ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকার বিক্রি করা যাবে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, চাষীরা সকাল থেকে খিরা তুলতে শুরু করেছেন। আগে যে সব জমি পতিত পড়ে থাকতো। অধিকাংশ জমিতে খিরার আবাদ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন দৈনিক সবুজ বাংলা কে বলেন, মাঠ পর্যায়ে খিরা চাষীদের মরামর্শ দেওয়া হয়। এ বছরও খিরার আবাদে কোনো রোগবালাই নেই। মাত্র ৫০ থেকে ৬০ দিনেই অধিক ফলন পাওয়া যায়। তাই শীতের মৌসুমে খিরা চাষে আগ্রহী হন এখানকার কৃষকরা। রোপণের মাত্র ২ মাসের মধ্যেই ফলন উত্তোলন শেষ করা হয়। বিঘা প্রতি ১০/১২ হাজার টাকা খরচ করে খেত বিশেষে বিক্রি করা যায় ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা। গত বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে খিরার আবাদ হয়েছে। তিন ফসলি জমিগুলোতে ধান চাষের আগে খিরা আবাদ করে বাড়তি এ লাভ কৃষকদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে। তাই এ অঞ্চলের চাষিদের মধ্যে বেড়েছে খিরার আবাদ। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের দিঘড়িয়া গিয়ে খিরা কিনে দেশের ঢাকাসহ বিভিন্ন হাটবাজারে খুচরা এবং পাইকারি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।