১২:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদযাত্রা চোখ রাঙাচ্ছে সড়ক :স্বস্তির যাত্রা রেলে

➤মহাসড়কে গাড়ির চাপ, কিছু স্থানে ধীরগতি
➤যাত্রীর অপেক্ষা লঞ্চ, স্পেশাল ট্রেন চলাচল শুরু

 

 

ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন নগরবাসী। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাস ও ট্রেনে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন। গতকাল শুক্রবারও সড়ক, রেল, নৌপথে ঢাকা ছেড়েছেন অনেকে। এবার এখনো পর্যন্ত শিডিউল বিপর্যয় না হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন রেল যাত্রীরা। তবে মহাসড়কগুলোতে বেড়েছে গাড়ির চাপ। এদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২৫ কি.মি. সড়কে ছিল যানজট, থেমে থেমে চলেছে গাড়ি। তবে অন্য মহাসড়কগুলোতে যানজট বা গাড়ির ধীরগতি না দেখা গেলেও গাড়ির সংখ্যা ছিল লক্ষণীয়। আগামী বুধবার সরকারি ছুটি শুরু হলে আগের দিন মঙ্গলবার বিকাল থেকে ঘরমুখী মানুষের চাপ আরো বৃদ্ধি পেলে তীব্র যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভোর থেকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুর পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার অংশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। মহাসড়কটিতে চট্টগ্রামগামী লেনে ভোর থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকায় এই যানজটের সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত শুক্রবার কোনো বড় যানজট নেই। তবে গৌরীপুর থেকে ইলিয়টগঞ্জ পর্যন্ত চট্টগ্রামমুখী লেনে সকালে থেমে থেমে যানজট দেখা গেছে। এ ছাড়াও দুপুরে মহাসড়কের চট্টগ্রামগামী লেনের গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে দাউদকান্দি সেতু পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় পরিবহনের ধীরগতি দেখা গেছে। কখনো কখনো যানবাহনকে থেমে যেতেও দেখা গেছে। এ ছাড়া বাকি এলাকায় তেমন কোনো যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকায় ধীরগতিতে যানবাহন চলাচলের খবর পাওয়া গেছে। নিমসার বাজার, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকার ইউটার্ন, দাউদকান্দির শহিদনগর, চান্দিনা বাজারেও পরিবহন ধীরগতিতে চলছে। কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের বাগমারা বাজার এলাকায় কয়েক কিলোমিটার যানজটের খবর পাওয়া গেছে।

ঈদে ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে এই দুই মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্টপেজগুলোয় যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। কিছু কিছু পয়েন্টে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগড়া বাইপাস মোড়, বোর্ডবাজার ও স্টেশন রোডসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোয় অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। যাত্রীর তুলনায় যানবাহন কম থাকায় অনেককে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। যাদের আগে ছুটি হয়েছে, তারা গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে গ্রামের বাড়ির পথে ছুটতে শুরু করেছেন। আজ সকালেও একই অবস্থা দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহনের চাপ বাড়ছে। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তাসহ আশপাশে যানবাহনের চাপ দেখা গেছে।

এদিকে শিডিউল বিপর্যয় না থাকায় গতকালও উৎসবমুখর পরিবেশে যাত্রীদের ট্রেনে চড়ে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। ঈদযাত্রার তৃতীয় দিনেও সময় মেনেই কমলাপুর স্টেশন ছেড়েছে প্রতিটি ট্রেন। ভোগান্তি ছাড়াই স্টেশনে প্রবেশ থেকে শুরু করে ট্রেনের নির্ধারিত আসন পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, প্রধান সড়ক থেকে স্টেশনে প্রবেশের মুখেই অপ্রয়োজনীয় গাড়িগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছেন রেলের নিরাপত্তা কর্মীরা। শুধু যেসব গাড়িতে যাত্রী রয়েছে, সেসব গাড়িগুলোকে স্টেশন এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। এরপর যাত্রীরা গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে প্ল্যাটফর্মের দিকে প্রবেশ করছেন। শুরুতেই যাত্রীদের সঙ্গে টিকিট রয়েছে কি না সেটি চেক করছেন টিটিইরা। তবে গত দুই দিনের তুলনায় আজ যাত্রীচাপ কিছুটা বেড়েছে। প্রতিটি ট্রেনই যথাসময়ে ছেড়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে।

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের ঈদযাত্রায় এখন পর্যন্ত কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। অনলাইনের টিকিটও পাওয়া গেছে অনেকটা সহজেই। ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকেও ট্রেনে উঠতে ও নিজ আসনে পৌঁছাতে কোনো বেগ পোহাতে হয়নি। ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, বেশির ভাগ ট্রেনই নির্ধারিত সময়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। ট্রেন চলাচলের শিডিউলে ৫-১০ মিনিটের মতো সামান্য বিলম্ব থাকলেও বড় ধরনের কোনো বিলম্ব নেই। ঈদ উপলক্ষে আট জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। গতকাল থেকে এসব ট্রেন নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী চলাচল শুরু করেছে।

আজ থেকে চালু হবে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ লঞ্চ। গতকাল সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চাঁদপুরগামী লঞ্চগুলোতেই যাত্রীর চাপ রয়েছে। তবে বরিশালসহ অন্য রুটের লঞ্চ শ্রমিকরা আছেন যাত্রীর অপেক্ষায়। এদিন বিকাল থেকে দুই-একজন করে যাত্রী আসতে শুরু করেন। সন্ধ্যার পর কিছু যাত্রী বেশি হলেও তা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় নয়। গুলিস্তান থেকে সদরঘাট সড়কেও নেই পূর্বের তীব্র যানজট। এই সড়কে গাড়ির ধীরগতি থাকলেও, যানজটের ভোগান্তি না থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। এছাড়াও ঘাটে এসে লঞ্চের কেবিন পেয়ে যাওয়ায় সবমিলিয়ে দুর্ভোগহীন যাত্রায় স্বস্তির হাসি ছিল যাত্রীদের মুখে।

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সামান্তা শারমিনের নতুন বার্তা

ঈদযাত্রা চোখ রাঙাচ্ছে সড়ক :স্বস্তির যাত্রা রেলে

আপডেট সময় : ০৪:৩২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪

➤মহাসড়কে গাড়ির চাপ, কিছু স্থানে ধীরগতি
➤যাত্রীর অপেক্ষা লঞ্চ, স্পেশাল ট্রেন চলাচল শুরু

 

 

ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন নগরবাসী। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাস ও ট্রেনে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন। গতকাল শুক্রবারও সড়ক, রেল, নৌপথে ঢাকা ছেড়েছেন অনেকে। এবার এখনো পর্যন্ত শিডিউল বিপর্যয় না হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন রেল যাত্রীরা। তবে মহাসড়কগুলোতে বেড়েছে গাড়ির চাপ। এদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২৫ কি.মি. সড়কে ছিল যানজট, থেমে থেমে চলেছে গাড়ি। তবে অন্য মহাসড়কগুলোতে যানজট বা গাড়ির ধীরগতি না দেখা গেলেও গাড়ির সংখ্যা ছিল লক্ষণীয়। আগামী বুধবার সরকারি ছুটি শুরু হলে আগের দিন মঙ্গলবার বিকাল থেকে ঘরমুখী মানুষের চাপ আরো বৃদ্ধি পেলে তীব্র যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভোর থেকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুর পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার অংশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। মহাসড়কটিতে চট্টগ্রামগামী লেনে ভোর থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকায় এই যানজটের সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত শুক্রবার কোনো বড় যানজট নেই। তবে গৌরীপুর থেকে ইলিয়টগঞ্জ পর্যন্ত চট্টগ্রামমুখী লেনে সকালে থেমে থেমে যানজট দেখা গেছে। এ ছাড়াও দুপুরে মহাসড়কের চট্টগ্রামগামী লেনের গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে দাউদকান্দি সেতু পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় পরিবহনের ধীরগতি দেখা গেছে। কখনো কখনো যানবাহনকে থেমে যেতেও দেখা গেছে। এ ছাড়া বাকি এলাকায় তেমন কোনো যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকায় ধীরগতিতে যানবাহন চলাচলের খবর পাওয়া গেছে। নিমসার বাজার, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকার ইউটার্ন, দাউদকান্দির শহিদনগর, চান্দিনা বাজারেও পরিবহন ধীরগতিতে চলছে। কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের বাগমারা বাজার এলাকায় কয়েক কিলোমিটার যানজটের খবর পাওয়া গেছে।

ঈদে ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে এই দুই মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্টপেজগুলোয় যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। কিছু কিছু পয়েন্টে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগড়া বাইপাস মোড়, বোর্ডবাজার ও স্টেশন রোডসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোয় অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। যাত্রীর তুলনায় যানবাহন কম থাকায় অনেককে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। যাদের আগে ছুটি হয়েছে, তারা গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে গ্রামের বাড়ির পথে ছুটতে শুরু করেছেন। আজ সকালেও একই অবস্থা দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহনের চাপ বাড়ছে। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তাসহ আশপাশে যানবাহনের চাপ দেখা গেছে।

এদিকে শিডিউল বিপর্যয় না থাকায় গতকালও উৎসবমুখর পরিবেশে যাত্রীদের ট্রেনে চড়ে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। ঈদযাত্রার তৃতীয় দিনেও সময় মেনেই কমলাপুর স্টেশন ছেড়েছে প্রতিটি ট্রেন। ভোগান্তি ছাড়াই স্টেশনে প্রবেশ থেকে শুরু করে ট্রেনের নির্ধারিত আসন পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, প্রধান সড়ক থেকে স্টেশনে প্রবেশের মুখেই অপ্রয়োজনীয় গাড়িগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছেন রেলের নিরাপত্তা কর্মীরা। শুধু যেসব গাড়িতে যাত্রী রয়েছে, সেসব গাড়িগুলোকে স্টেশন এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। এরপর যাত্রীরা গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে প্ল্যাটফর্মের দিকে প্রবেশ করছেন। শুরুতেই যাত্রীদের সঙ্গে টিকিট রয়েছে কি না সেটি চেক করছেন টিটিইরা। তবে গত দুই দিনের তুলনায় আজ যাত্রীচাপ কিছুটা বেড়েছে। প্রতিটি ট্রেনই যথাসময়ে ছেড়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে।

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের ঈদযাত্রায় এখন পর্যন্ত কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। অনলাইনের টিকিটও পাওয়া গেছে অনেকটা সহজেই। ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকেও ট্রেনে উঠতে ও নিজ আসনে পৌঁছাতে কোনো বেগ পোহাতে হয়নি। ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, বেশির ভাগ ট্রেনই নির্ধারিত সময়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। ট্রেন চলাচলের শিডিউলে ৫-১০ মিনিটের মতো সামান্য বিলম্ব থাকলেও বড় ধরনের কোনো বিলম্ব নেই। ঈদ উপলক্ষে আট জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। গতকাল থেকে এসব ট্রেন নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী চলাচল শুরু করেছে।

আজ থেকে চালু হবে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ লঞ্চ। গতকাল সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চাঁদপুরগামী লঞ্চগুলোতেই যাত্রীর চাপ রয়েছে। তবে বরিশালসহ অন্য রুটের লঞ্চ শ্রমিকরা আছেন যাত্রীর অপেক্ষায়। এদিন বিকাল থেকে দুই-একজন করে যাত্রী আসতে শুরু করেন। সন্ধ্যার পর কিছু যাত্রী বেশি হলেও তা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় নয়। গুলিস্তান থেকে সদরঘাট সড়কেও নেই পূর্বের তীব্র যানজট। এই সড়কে গাড়ির ধীরগতি থাকলেও, যানজটের ভোগান্তি না থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। এছাড়াও ঘাটে এসে লঞ্চের কেবিন পেয়ে যাওয়ায় সবমিলিয়ে দুর্ভোগহীন যাত্রায় স্বস্তির হাসি ছিল যাত্রীদের মুখে।