০৪:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সংগঠনকে ভূমিকা রাখতে হবে গণমাধ্যমের -স্পিকার

গণমাধ্যম আজ আর শুধু পত্রিকা আর টিভির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। অনলাইন নিউজ পোর্টাল,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউভ এমন মাধ্যমগুলো বিস্তৃত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। একই সাথে তিনি বলেন,মাধ্যম বিস্তৃতির সাথে সাথে নারী সাংবাদিকদের জন্য চ্যালেঞ্জগুলোও বেড়েছে। চ্যালেঞ্জ -মোকাবেলা তিনি নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের মতো সংগঠনকে ভ‚মিকা রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, নারীরা সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে এসেছে। তারা যেন ঝড়ে না পড়ে সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
গতকাল রবিবার বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের ৪র্থ জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এসব কথা বলেন। ‘নারী-পুরুষের সমতা অর্জনে কলম হোক হাতিয়ার’প্রতিপাদ্য করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট-এ সম্মেলন আয়োজন করে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র-বিএনএসকে।
বিএনএসকে-এর সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক পারভিন সুলতানা ঝুমা। কোশ-প্রস্তাব উপস্থাপনা করেন অর্থ ম্পাদক আক্তার জাহান মালিক। অনুষ্ঠানে আরো উপস্তিতি ছিলেন, সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক শ্যামল দত্ত,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন প্রমূখ।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নারীদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং যথাযথ জ্ঞান অর্জন করে কাজ করতে হবে। সাইবার নিরাপত্তাকে সাংবাদিকতার জন্য নারীর অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করে বলেন,প্রযুক্তি দক্ষতা অর্জন করে রাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিএনএসকে কে তিনি সাইবার নিরাপত্তা বিষয় প্রশিক্ষনের উপর গুরুত্ব দিতে বলেন। তিনি বলেন, নারীরা যে শুধু এগিয়ে এসেছে তা না। তারা নিজেদের জন্য জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন। নারীরা যাতে পেশাগত বৈষম্যের শিকার না হন সে দিকে গুরুত্বারোপ করেন।
নাসিমুন আরা হক মিনুর মিনু বিএনএসকে-এর ২৪ বছর অতিক্রান্ত করে আজকের আসার জন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন,তাদের কার্যক্রম ঢাকা থেকে দেশের প্রত্যেক অঞ্চলে পৌছেঁগেকে। নারী সাংবাদিকরা এখন দৃশ্যমান তারপরও এখনো নারীরা চাকরি হারায়, পেশাগত বৈষম্যের মিকার হয়।এখনো ভালো কাজের সুযোগ নারীকে দেয়া হয় না। ভাবা হয় নারীর জন্য এই কাজ নয়। তাই নারী সাংবাদিকদের সংখ্যা যতটা বাড়ার কথা ঠিক ততটা বাড়ছে না।দেশের যে কোন দুযোর্গে নারীর চ্যালেঞ্জ ভিন্ন উল্লেখ করে নাসিমুন আরা বলেন, কোভিড মহামারিতে এর ব্যতিক্রম হয়নি।নারীদের চাকরি হারানো, বেতন ভাতার বৈষম্যের অনেক অভিযোগ ছিলো। সমাজের পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের উপর গুরুত্বারোপ করেন নিনি। তিনি প্রত্যেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে হাইকোর্টের নির্দেশিত যৌন হয়রানি প্রতিরোধের কমিটি গঠন, নিরাপদ যানবাহন, ডে-কেয়ার সেন্টার করা,৩০ শতাংশ নারী নিয়োগ দেয়া যোগ্যতা অনুযায়ি পদউন্নতিও বেতনভাতা দেয়াসহ ১৪টি দাবি তুলে করেন।
পারভীন সুলতানা ঝুমা বলেন,  একটি সৎ ও কর্মতৎপর সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র ২৪ বছর ধরে সাংবাদিকদের দক্ষতা উন্নয়ন,অংশগ্রহন বৃদ্ধি ও অধিকার আদায়ে কাজ করে চলেছে। তাদের যৌলুস বৃদ্ধি না পেলেও কাজের প্রতি আন্তরিকতা ও গ্রহনযোগ্যতা বেড়েছে। অনুষ্ঠান শুরুতে সমেবেদ সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিএনএসকে-এর সদস্যরা। অনুষ্ঠানে অতিি
জনপ্রিয় সংবাদ

চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সংগঠনকে ভূমিকা রাখতে হবে গণমাধ্যমের -স্পিকার

আপডেট সময় : ০৬:২৪:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
গণমাধ্যম আজ আর শুধু পত্রিকা আর টিভির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। অনলাইন নিউজ পোর্টাল,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউভ এমন মাধ্যমগুলো বিস্তৃত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। একই সাথে তিনি বলেন,মাধ্যম বিস্তৃতির সাথে সাথে নারী সাংবাদিকদের জন্য চ্যালেঞ্জগুলোও বেড়েছে। চ্যালেঞ্জ -মোকাবেলা তিনি নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের মতো সংগঠনকে ভ‚মিকা রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, নারীরা সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে এসেছে। তারা যেন ঝড়ে না পড়ে সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
গতকাল রবিবার বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের ৪র্থ জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এসব কথা বলেন। ‘নারী-পুরুষের সমতা অর্জনে কলম হোক হাতিয়ার’প্রতিপাদ্য করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট-এ সম্মেলন আয়োজন করে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র-বিএনএসকে।
বিএনএসকে-এর সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক পারভিন সুলতানা ঝুমা। কোশ-প্রস্তাব উপস্থাপনা করেন অর্থ ম্পাদক আক্তার জাহান মালিক। অনুষ্ঠানে আরো উপস্তিতি ছিলেন, সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক শ্যামল দত্ত,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন প্রমূখ।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নারীদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং যথাযথ জ্ঞান অর্জন করে কাজ করতে হবে। সাইবার নিরাপত্তাকে সাংবাদিকতার জন্য নারীর অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করে বলেন,প্রযুক্তি দক্ষতা অর্জন করে রাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিএনএসকে কে তিনি সাইবার নিরাপত্তা বিষয় প্রশিক্ষনের উপর গুরুত্ব দিতে বলেন। তিনি বলেন, নারীরা যে শুধু এগিয়ে এসেছে তা না। তারা নিজেদের জন্য জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন। নারীরা যাতে পেশাগত বৈষম্যের শিকার না হন সে দিকে গুরুত্বারোপ করেন।
নাসিমুন আরা হক মিনুর মিনু বিএনএসকে-এর ২৪ বছর অতিক্রান্ত করে আজকের আসার জন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন,তাদের কার্যক্রম ঢাকা থেকে দেশের প্রত্যেক অঞ্চলে পৌছেঁগেকে। নারী সাংবাদিকরা এখন দৃশ্যমান তারপরও এখনো নারীরা চাকরি হারায়, পেশাগত বৈষম্যের মিকার হয়।এখনো ভালো কাজের সুযোগ নারীকে দেয়া হয় না। ভাবা হয় নারীর জন্য এই কাজ নয়। তাই নারী সাংবাদিকদের সংখ্যা যতটা বাড়ার কথা ঠিক ততটা বাড়ছে না।দেশের যে কোন দুযোর্গে নারীর চ্যালেঞ্জ ভিন্ন উল্লেখ করে নাসিমুন আরা বলেন, কোভিড মহামারিতে এর ব্যতিক্রম হয়নি।নারীদের চাকরি হারানো, বেতন ভাতার বৈষম্যের অনেক অভিযোগ ছিলো। সমাজের পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের উপর গুরুত্বারোপ করেন নিনি। তিনি প্রত্যেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে হাইকোর্টের নির্দেশিত যৌন হয়রানি প্রতিরোধের কমিটি গঠন, নিরাপদ যানবাহন, ডে-কেয়ার সেন্টার করা,৩০ শতাংশ নারী নিয়োগ দেয়া যোগ্যতা অনুযায়ি পদউন্নতিও বেতনভাতা দেয়াসহ ১৪টি দাবি তুলে করেন।
পারভীন সুলতানা ঝুমা বলেন,  একটি সৎ ও কর্মতৎপর সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র ২৪ বছর ধরে সাংবাদিকদের দক্ষতা উন্নয়ন,অংশগ্রহন বৃদ্ধি ও অধিকার আদায়ে কাজ করে চলেছে। তাদের যৌলুস বৃদ্ধি না পেলেও কাজের প্রতি আন্তরিকতা ও গ্রহনযোগ্যতা বেড়েছে। অনুষ্ঠান শুরুতে সমেবেদ সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিএনএসকে-এর সদস্যরা। অনুষ্ঠানে অতিি