১২:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রংপুরে বস্তায় পদ্ধতিতে সবজি চাষ

প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে সবজি চাষ করে লাভবান শিক্ষক আব্দুল মালেক। গত বছর বস্তায় বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ শুরু করেন রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল মালেক। প্রথমে শখের বশে সবজি চাষ করলেও এখন পরিবারের চাহিদা পূরণ করে বাড়তি আয় করছেন। অনেকে তার পরামর্শ নিয়ে এ পদ্ধতিতে সবজি চাষ শুরু করেছেন। আব্দুল মালেক বলেন, গত বছর থেকে বস্তায় মরিচ, বাঁধাকপি, ঢেঁড়স, বাদাম, কচু, করলা, কুমড়া, শিম, লালশাক, ডাঁটাসহ বিভিন্ন সবজি চাষ শুরু করেন। চলতি বছর প্রায় ৪০০ বস্তায় সবজি চাষ করেন।

 

নিজের ধারণা কাজে লাগিয়ে চাষ করলেও কৃষি অফিসের লোকজন তার খোঁজ নিচ্ছেন। এ কাজে সহযোগিতা করেন স্ত্রী ও মেয়ে। তিন শতক জমিতে ১০০ বস্তায় বাদাম ও ১০০ বস্তায় মুখিকচু, বাকি ২০০ বস্তায় হাজারি বাঁধাকপি, মরিচ, পেঁপে, কুমড়া, বরবটিসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছেন। আব্দুল মালেক বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে হিসাব রাখা হয়নি। মূল খরচ বলতে বস্তা কেনা, মাটি ভরাট এবং পরিমিত সার দেয়ার কাজ করা হয়েছে। যে টাকা খরচ হয়েছে তা উঠে লাভ হয়েছে। বাদাম হয়েছে প্রায় দেড় মণ। এক মণ (বীজ) বাদাম বিক্রয় করেছেন ১২ হাজার টাকা।

 

একেকটি হাজারি বাঁধাকপি গাছে ৪০-৫০টি কপি হয়েছে। ৯৫ দিনে প্রতিটি কপির ওজন হবে ২৫০-৩০০ গ্রাম। বস্তায় সবজি চাষের সবচেয়ে বড় সুফল হচ্ছে জমি কম লাগে এবং আগাছা সহজে পরিষ্কার করা যায়। রোগবালাই কম হয় বলে ফলনও ভালো। প্রয়োজনে বস্তা সরানো যায়। হাজারি বাঁধাকপি চাষ স¤পর্কে তিনি বলেন, প্রথম অবস্থায় অল্প পরিসরে চাষ করেছি। চলতি বছর লাভ ভালো হলে আগামীতে আারও বড় পরিসরে বাদাম চাষ করবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন বলেন, আধুনিক চাষ পদ্ধতিতে বাঁধাকপি, বাদাম ও মুখিকচু গাছে পানি এবং কীটনাশক লাগে সীমিত। এভাবে বাঁধাকপি, মুখিকচু ও বাদাম চাষ করতে চাইলে আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শসহ সহযোগিতা দেয়া হবে। বস্তায় বাঁধাকপি, কচু ও বাদাম চাষ একটা ভালো প্রযুক্তি। এতে রোগবালাই কম আক্রমণ করে। যাদের জমি নেই, শুধু বাসস্থান আছে, তারা এ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

রংপুরে বস্তায় পদ্ধতিতে সবজি চাষ

আপডেট সময় : ০৫:৫৭:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে সবজি চাষ করে লাভবান শিক্ষক আব্দুল মালেক। গত বছর বস্তায় বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ শুরু করেন রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল মালেক। প্রথমে শখের বশে সবজি চাষ করলেও এখন পরিবারের চাহিদা পূরণ করে বাড়তি আয় করছেন। অনেকে তার পরামর্শ নিয়ে এ পদ্ধতিতে সবজি চাষ শুরু করেছেন। আব্দুল মালেক বলেন, গত বছর থেকে বস্তায় মরিচ, বাঁধাকপি, ঢেঁড়স, বাদাম, কচু, করলা, কুমড়া, শিম, লালশাক, ডাঁটাসহ বিভিন্ন সবজি চাষ শুরু করেন। চলতি বছর প্রায় ৪০০ বস্তায় সবজি চাষ করেন।

 

নিজের ধারণা কাজে লাগিয়ে চাষ করলেও কৃষি অফিসের লোকজন তার খোঁজ নিচ্ছেন। এ কাজে সহযোগিতা করেন স্ত্রী ও মেয়ে। তিন শতক জমিতে ১০০ বস্তায় বাদাম ও ১০০ বস্তায় মুখিকচু, বাকি ২০০ বস্তায় হাজারি বাঁধাকপি, মরিচ, পেঁপে, কুমড়া, বরবটিসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছেন। আব্দুল মালেক বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে হিসাব রাখা হয়নি। মূল খরচ বলতে বস্তা কেনা, মাটি ভরাট এবং পরিমিত সার দেয়ার কাজ করা হয়েছে। যে টাকা খরচ হয়েছে তা উঠে লাভ হয়েছে। বাদাম হয়েছে প্রায় দেড় মণ। এক মণ (বীজ) বাদাম বিক্রয় করেছেন ১২ হাজার টাকা।

 

একেকটি হাজারি বাঁধাকপি গাছে ৪০-৫০টি কপি হয়েছে। ৯৫ দিনে প্রতিটি কপির ওজন হবে ২৫০-৩০০ গ্রাম। বস্তায় সবজি চাষের সবচেয়ে বড় সুফল হচ্ছে জমি কম লাগে এবং আগাছা সহজে পরিষ্কার করা যায়। রোগবালাই কম হয় বলে ফলনও ভালো। প্রয়োজনে বস্তা সরানো যায়। হাজারি বাঁধাকপি চাষ স¤পর্কে তিনি বলেন, প্রথম অবস্থায় অল্প পরিসরে চাষ করেছি। চলতি বছর লাভ ভালো হলে আগামীতে আারও বড় পরিসরে বাদাম চাষ করবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন বলেন, আধুনিক চাষ পদ্ধতিতে বাঁধাকপি, বাদাম ও মুখিকচু গাছে পানি এবং কীটনাশক লাগে সীমিত। এভাবে বাঁধাকপি, মুখিকচু ও বাদাম চাষ করতে চাইলে আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শসহ সহযোগিতা দেয়া হবে। বস্তায় বাঁধাকপি, কচু ও বাদাম চাষ একটা ভালো প্রযুক্তি। এতে রোগবালাই কম আক্রমণ করে। যাদের জমি নেই, শুধু বাসস্থান আছে, তারা এ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন।