০৬:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সম্প্রীতির গ্রামে সম্প্রীতির রোড

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় গ্রামীণ এক সড়কের নামকরণ করা হয়েছে সম্প্রীতির রোড। সড়কটি চলে গেছে সদর ইউনিয়নের ধামুর পূর্বপাড়া গ্রাম থেকে তিস্তা বাঁধ-সংলগ্ন বটেরতল পর্যন্ত। প্রায় অর্ধ কিলোমিটার সড়কের দু’ধারে লাগানো হয়েছে আম, জাম, কাঁঠাল, জলপাই, জাতনিম, সোনালু, জারুলসহ নানা প্রজাতির গাছ। দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ও হারমনি ভিলেজ টিমের উদ্যোগে গ্রামের হিন্দু, মুসলিমসহ মাঝিপাড়ার নানা সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে গাছগুলো রোপণ করেন। গত সোমবার বিকালে এ সড়কের উদ্বোধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল ফেরদৌস ঊর্মি, দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি মাহমুদা আক্তার শরিফা, হারমনি ভিলেজ টিমের রায়হান কবির, রিফাত আফসানা, সাদিয়া, ইরাসহ গ্রামের নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। ধানক্ষেতের মাঝখান দিয়ে এঁকেবেঁকে চলে গেছে পিচঢালা সড়কটি। এ সড়ক ধরে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করেন ধামুর পূর্বপাড়া গ্রামের মানুষ। গ্রামটিতে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের চার শতাধিক পরিবার সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বাস করছে যুগের পর যুগ। সড়কের উদ্যোক্তারা বলেন, সড়কের এক প্রান্তে তিস্তা নদী হওয়ায় এটি ধরে হাঁটবেন অনেক মানুষ নির্মল বাতাসে নেবেন শ্বাস। নানা জাতের গাছের সারির মাঝ দিয়ে চলে যাওয়া সড়ক দেখতে এতটাই মনোমুগ্ধকর হবে যে অনেকে ছবিও তুলবেন। এভাবে বাস্তবায়ন ঘটবে উদ্যোক্তাদের স্বপ্নের। ওই গ্রামের বিষ্ণু রায় ও আব্দুল কাদের বলেন, আমাদের তিস্তাপারের ধামুর পূর্বপাড়া গ্রামটিতে হিন্দু-মুসলিম সবাই মিলেমিশে থাকি। সম্প্রীতির রোডে এ বন্ধন আরও দৃঢ় করবে। দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি মাহমুদা আক্তার শরিফা ও হারমনি ভিলেজ টিমের রায়হান কবির বলেন, সম্প্রীতির গ্রাম হিসেবে তারা গঙ্গাচড়ার পূর্বপাড়া গ্রামকে চিহ্নিত করেছেন। এ সড়ক অন্য গ্রামগুলো মিলেমিশে থাকায় প্রেরণা দেবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না বলেন, ধামুর পূর্বপাড়া গ্রামের সম্প্রীতির সড়ক একটা মডেল। প্রয়োজনে এটিকে আরও সমৃদ্ধ ও দৃষ্টিনন্দন করা হবে।

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনে রপ্তানি বাড়েনি, বাণিজ্য ঘাটতি পাহাড়সম

সম্প্রীতির গ্রামে সম্প্রীতির রোড

আপডেট সময় : ০৫:৩৬:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় গ্রামীণ এক সড়কের নামকরণ করা হয়েছে সম্প্রীতির রোড। সড়কটি চলে গেছে সদর ইউনিয়নের ধামুর পূর্বপাড়া গ্রাম থেকে তিস্তা বাঁধ-সংলগ্ন বটেরতল পর্যন্ত। প্রায় অর্ধ কিলোমিটার সড়কের দু’ধারে লাগানো হয়েছে আম, জাম, কাঁঠাল, জলপাই, জাতনিম, সোনালু, জারুলসহ নানা প্রজাতির গাছ। দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ও হারমনি ভিলেজ টিমের উদ্যোগে গ্রামের হিন্দু, মুসলিমসহ মাঝিপাড়ার নানা সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে গাছগুলো রোপণ করেন। গত সোমবার বিকালে এ সড়কের উদ্বোধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল ফেরদৌস ঊর্মি, দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি মাহমুদা আক্তার শরিফা, হারমনি ভিলেজ টিমের রায়হান কবির, রিফাত আফসানা, সাদিয়া, ইরাসহ গ্রামের নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। ধানক্ষেতের মাঝখান দিয়ে এঁকেবেঁকে চলে গেছে পিচঢালা সড়কটি। এ সড়ক ধরে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করেন ধামুর পূর্বপাড়া গ্রামের মানুষ। গ্রামটিতে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের চার শতাধিক পরিবার সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বাস করছে যুগের পর যুগ। সড়কের উদ্যোক্তারা বলেন, সড়কের এক প্রান্তে তিস্তা নদী হওয়ায় এটি ধরে হাঁটবেন অনেক মানুষ নির্মল বাতাসে নেবেন শ্বাস। নানা জাতের গাছের সারির মাঝ দিয়ে চলে যাওয়া সড়ক দেখতে এতটাই মনোমুগ্ধকর হবে যে অনেকে ছবিও তুলবেন। এভাবে বাস্তবায়ন ঘটবে উদ্যোক্তাদের স্বপ্নের। ওই গ্রামের বিষ্ণু রায় ও আব্দুল কাদের বলেন, আমাদের তিস্তাপারের ধামুর পূর্বপাড়া গ্রামটিতে হিন্দু-মুসলিম সবাই মিলেমিশে থাকি। সম্প্রীতির রোডে এ বন্ধন আরও দৃঢ় করবে। দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি মাহমুদা আক্তার শরিফা ও হারমনি ভিলেজ টিমের রায়হান কবির বলেন, সম্প্রীতির গ্রাম হিসেবে তারা গঙ্গাচড়ার পূর্বপাড়া গ্রামকে চিহ্নিত করেছেন। এ সড়ক অন্য গ্রামগুলো মিলেমিশে থাকায় প্রেরণা দেবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না বলেন, ধামুর পূর্বপাড়া গ্রামের সম্প্রীতির সড়ক একটা মডেল। প্রয়োজনে এটিকে আরও সমৃদ্ধ ও দৃষ্টিনন্দন করা হবে।