০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রংপুরে পেঁপে চাষে বছরে ২০ লক্ষ টাকা আয়ের স্বপ্ন

পেঁপে চাষে ভাগ্য বদলেছে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাটের কৃষক হেলাল উদ্দিনের। দুই বছর আগে স্থানীয় আব্দুর রসীদ নামে এক যুবকের পরামর্শে ১৬ শতাংশ জমিতে টপলেডি জাতের পেঁপে দিয়ে শুরু করেন। সেই সময় ১৪ হাজার টাকা খরচ করে লাভ হয়েছিল লক্ষাধিক টাকা। বর্তমানে ১৭০ শতাংশ জমিতে পেঁপে চাষ করছেন হেলাল। যা থেকে বছরে ২০ লক্ষ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। হেলালের পেঁপে বাগানে দেখা যায়, পাঁচ মাস বয়সী প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় পেঁপে ঝুলে আছে। মাটি থেকে গাছের আগা পর্যন্ত শুধু পেঁপে আর পেঁপে। হেলাল উদ্দিন বলেন, প্রতিটি গাছে এক মন থেকে আড়াই মন পর্যন্ত পেঁপে আছে। একেকটি পেঁপের ওজন এক থেকে তিন কেজি পর্যন্ত। এসব পেঁপে পাকতে শুরু করলে গাছ থেকেই বিক্রয় করব। কারণ কাচা পেঁপের চেয়ে পাকা পেঁপে বিক্রয় করলে তিনগুণ বেশি লাভ। তিনি আরও বলেন, পাকা পেঁপে পাইকারি প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকা দরে বিক্রয় করা যায়। ফলে একটি পেঁপের গাছ থেকে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। রংপুর কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, হেলাল উদ্দিনের সফলতা দেখে বালারহাটের শতাধিক কৃষক পেঁপে চাষ করেছে। এবছর রংপুর জেলায় ২০০ হেক্টর জমিতে পেঁপের চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ থেকে ১৫ হাজার মেট্রিক টন। সম্ভাবনা থাকায় পেঁপে চাষে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শসহ যাবতীয় সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

একনেক সভায় ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

রংপুরে পেঁপে চাষে বছরে ২০ লক্ষ টাকা আয়ের স্বপ্ন

আপডেট সময় : ০৫:৫৫:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪

পেঁপে চাষে ভাগ্য বদলেছে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাটের কৃষক হেলাল উদ্দিনের। দুই বছর আগে স্থানীয় আব্দুর রসীদ নামে এক যুবকের পরামর্শে ১৬ শতাংশ জমিতে টপলেডি জাতের পেঁপে দিয়ে শুরু করেন। সেই সময় ১৪ হাজার টাকা খরচ করে লাভ হয়েছিল লক্ষাধিক টাকা। বর্তমানে ১৭০ শতাংশ জমিতে পেঁপে চাষ করছেন হেলাল। যা থেকে বছরে ২০ লক্ষ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। হেলালের পেঁপে বাগানে দেখা যায়, পাঁচ মাস বয়সী প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় পেঁপে ঝুলে আছে। মাটি থেকে গাছের আগা পর্যন্ত শুধু পেঁপে আর পেঁপে। হেলাল উদ্দিন বলেন, প্রতিটি গাছে এক মন থেকে আড়াই মন পর্যন্ত পেঁপে আছে। একেকটি পেঁপের ওজন এক থেকে তিন কেজি পর্যন্ত। এসব পেঁপে পাকতে শুরু করলে গাছ থেকেই বিক্রয় করব। কারণ কাচা পেঁপের চেয়ে পাকা পেঁপে বিক্রয় করলে তিনগুণ বেশি লাভ। তিনি আরও বলেন, পাকা পেঁপে পাইকারি প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকা দরে বিক্রয় করা যায়। ফলে একটি পেঁপের গাছ থেকে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। রংপুর কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, হেলাল উদ্দিনের সফলতা দেখে বালারহাটের শতাধিক কৃষক পেঁপে চাষ করেছে। এবছর রংপুর জেলায় ২০০ হেক্টর জমিতে পেঁপের চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ থেকে ১৫ হাজার মেট্রিক টন। সম্ভাবনা থাকায় পেঁপে চাষে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শসহ যাবতীয় সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।