০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় বস্তায় আদা চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে

আদার ঔষুধি গুন অনেক। আদায় ছাড়া অনেক রান্নার কথা চিন্তাই করা যায় না। লাল চায়ের জন্য আদা গুরুত্বপূর্ন উপকরণ। গাইবান্ধায় ফসলের পাশাপাশি ধান চাষ বেশি করেন। তবে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থায় বস্তায় আদা চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি, গাইবান্ধা সদর, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর উপজেলায় কৃষকদের মধ্যে বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতিতে আদা চাষে আগ্রহ বেড়েছে। খুব সহজেই বাড়ির আশপাশ, আঙিনা ও ফল বাগান কিংবা গাছের নিচে ছায়াযুক্ত স্থানে চাষ করা যায় বলে কৃষক পর্যায়ে বস্তায় আদা চাষের সম্প্রসারণ ঘটছে। গত বছর গাইবান্ধার সাত উপজেলায় ৬৬ হাজার ৭৫টি বস্তায় আদা চাষ হলেও চলতি বছর তা বেড়েছে। গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় চলতি বছর ২৪৯টি ব্লকে ৯৭ হাজার ৫৮৮ বস্তায় আদা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ৭ হাজার ৬০০ বস্তা, সাদুল্লাপুরে ১৪ হাজার ৮১৭, পলাশবাড়ীতে ২০ হাজার ২২৫, গোবিন্দগঞ্জে ৩০ হাজার ৩৪০, সুন্দরগঞ্জে ৯ হাজার ৪১৭, সাঘাটায় ১৪ হাজার ৬৮০ ও ফুলছড়িতে ৫০৯ বস্তয় আদা চাষ হয়েছে। চাষিরা বলেন, জানান, পরিমাণমতো মাটির সঙ্গে কৃষি উপকরণ মিশিয়ে বস্তার মধ্যে আদার বীজ রোপণ করেন তারা। এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি, রোগবালাই ও পরিচর্যা ব্যয় কম হয়। সহজেই চাষ করা যায় বলে বস্তায় আদা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন তারা। প্রতিটি বস্তায় আদা চাষে উৎপাদন খরচ হয় ৭৫-৮০ টাকা। প্রতিটি বস্তা থেকে এক কেজি থেকে সোয়া কেজি পর্যন্ত আদা উৎপাদন হয়। বর্তমানে প্রতি কেজি আদার দাম ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত। গাইবান্ধা সদর উপজেলার চকবরুল গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, বাড়ির উঠানে ৪০টি বস্তায় আদা চাষ করেছি। আশা করা হচ্ছে, যে খরচ হয়েছে, তার চেয়ে তিন গুণ বেশি লাভ হবে। গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. খোরশেদ আলম বলেন, চলতি বছর জেলায় ২৪৯টি ব্লকে ৯৭ হাজার ৫৮৮ বস্তায় আদা চাষ হয়েছে। এ পদ্ধতিতে উৎপাদন ব্যয় অনেক কম। বস্তায় আদা চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। এছাড়া এতে পতিত জমির সর্বোত্তম ব্যবহার হচ্ছে। বাড়ির আশপাশ, আঙিনা ও বিভিন্ন বাগানে গাছের নিচে ছায়াযুক্ত পতিত জমিতেও বস্তায় আদা চাষ করা যায়। কৃষকদের বস্তায় আদা চাষে আগ্রহী করতে সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

গাইবান্ধায় বস্তায় আদা চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে

আপডেট সময় : ০৩:২২:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আদার ঔষুধি গুন অনেক। আদায় ছাড়া অনেক রান্নার কথা চিন্তাই করা যায় না। লাল চায়ের জন্য আদা গুরুত্বপূর্ন উপকরণ। গাইবান্ধায় ফসলের পাশাপাশি ধান চাষ বেশি করেন। তবে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থায় বস্তায় আদা চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি, গাইবান্ধা সদর, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর উপজেলায় কৃষকদের মধ্যে বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতিতে আদা চাষে আগ্রহ বেড়েছে। খুব সহজেই বাড়ির আশপাশ, আঙিনা ও ফল বাগান কিংবা গাছের নিচে ছায়াযুক্ত স্থানে চাষ করা যায় বলে কৃষক পর্যায়ে বস্তায় আদা চাষের সম্প্রসারণ ঘটছে। গত বছর গাইবান্ধার সাত উপজেলায় ৬৬ হাজার ৭৫টি বস্তায় আদা চাষ হলেও চলতি বছর তা বেড়েছে। গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় চলতি বছর ২৪৯টি ব্লকে ৯৭ হাজার ৫৮৮ বস্তায় আদা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ৭ হাজার ৬০০ বস্তা, সাদুল্লাপুরে ১৪ হাজার ৮১৭, পলাশবাড়ীতে ২০ হাজার ২২৫, গোবিন্দগঞ্জে ৩০ হাজার ৩৪০, সুন্দরগঞ্জে ৯ হাজার ৪১৭, সাঘাটায় ১৪ হাজার ৬৮০ ও ফুলছড়িতে ৫০৯ বস্তয় আদা চাষ হয়েছে। চাষিরা বলেন, জানান, পরিমাণমতো মাটির সঙ্গে কৃষি উপকরণ মিশিয়ে বস্তার মধ্যে আদার বীজ রোপণ করেন তারা। এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি, রোগবালাই ও পরিচর্যা ব্যয় কম হয়। সহজেই চাষ করা যায় বলে বস্তায় আদা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন তারা। প্রতিটি বস্তায় আদা চাষে উৎপাদন খরচ হয় ৭৫-৮০ টাকা। প্রতিটি বস্তা থেকে এক কেজি থেকে সোয়া কেজি পর্যন্ত আদা উৎপাদন হয়। বর্তমানে প্রতি কেজি আদার দাম ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত। গাইবান্ধা সদর উপজেলার চকবরুল গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, বাড়ির উঠানে ৪০টি বস্তায় আদা চাষ করেছি। আশা করা হচ্ছে, যে খরচ হয়েছে, তার চেয়ে তিন গুণ বেশি লাভ হবে। গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. খোরশেদ আলম বলেন, চলতি বছর জেলায় ২৪৯টি ব্লকে ৯৭ হাজার ৫৮৮ বস্তায় আদা চাষ হয়েছে। এ পদ্ধতিতে উৎপাদন ব্যয় অনেক কম। বস্তায় আদা চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। এছাড়া এতে পতিত জমির সর্বোত্তম ব্যবহার হচ্ছে। বাড়ির আশপাশ, আঙিনা ও বিভিন্ন বাগানে গাছের নিচে ছায়াযুক্ত পতিত জমিতেও বস্তায় আদা চাষ করা যায়। কৃষকদের বস্তায় আদা চাষে আগ্রহী করতে সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।