কার্তিক মাসের শুরু থেকে অগ্রহণ মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত আমন ধান কেটে ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করে মুন্সিগঞ্জের চরা-অঞ্চলের কৃষক কৃষানীরা।কৃষি প্রদান দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ,সোনালী,ধানের দেশ বাংলাদেশ।সোনালী,রূপালী শষ্য-শ্যামলের দেশ বাংলাদেশ।
এ সময় কাক ডাকা ভোর থেকে নারী পুরুষ এক সঙ্গে ফসলের মাঠে ধান কাটা থেকে শুরু করে ধান মারাই,সিদ্ধ, শুঁকানো এবং সর্বশেষ ঘরে তোলা পর্যন্ত কৃষাণীরা ও কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করে থাকেন।
বর্তমানে যে জমি থেকে আমন ধান কাটা হচ্ছে, গতবছর একি জমিতে কেউ আলু,টমেটো,উস্তা,করলা,বেগুন,ভু
ঢাকা বিভাগের মুন্সিগঞ্জ জেলা এটি একটি নদী বেষ্টিত জেলা।এ জেলার ৬টি উপজেলা’ই শিল্পায়ন ও কৃষি কেন্দ্রীক।গজারিয়া,সিরাজদিখান,
গজারিয়া উপজেলায় দেখা যায়,বর্তমানে জমিতে ধান কেটে জমির একপাশে কেউ সনাতন পদ্ধতিতে আবার পাওয়ার ট্রেলারের মাধ্যমে ধান মাড়াই করছে।তার পরপরই জমিতে ধান পরিষ্কার করার উদ্দেশ্যে কুলা হাতে ধান উড়াতে দেখা যায় কৃষাণীদের।
কৃষি কেন্দ্রীক পরিবার গুলোতে নারী পুরুষ সমান কাজ করে থাকে।কৃষকেরা নানা কাজে মাঠে চলে যায়, সে সঙ্গে বাড়িতে ধান সিদ্ধ ও শুকানোর কাজের বড় অংশটি করে থাকে কৃষাণীরা।
কৃষক রেফায়েত উল্লাহ জানায়, আমন ধান রোপন বা উৎপাদন করতে কৃষকদের তেমন অর্থ ব্যয় করতে হয়না।ধান রোপনের আগে জমিতে যে ফসল উৎপাদন করা হয়।সে ফসলের জমিতে যে সার প্রয়োগ করা থাকে তাতেই হয়। তাছাড়া তেমন অতিরিক্ত ঔষধ কিংবা পরিচর্যা ও তেমন করতে হয়না।বর্ষার শুরুতে রোপন করে বর্ষা শেষে আমন ধান কেটে ঘরে ওঠাতে পারে কৃষক।
তবে এ বছর প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে কৃষকদের একটু মনখারাপ।এ বিষয়ে কৃষক মোঃজাকর হোসেন জানান,আমি আমন রোপন করেছিলাম প্রায় ৪কানি(১৫০শতাংশ) জমিতে।অসময়ে ভারতীয় বাঁধ ছেড়ে দেয়ায় দেশের পায় ১১ জেলা পানির নিচে প্লাবিত হয়ে পরে।তারি প্রভাব পরে আমাদের মুন্সিগঞ্জের পদ্মা মেঘনা নদীতে।এতে পানি বেড়ে যায়,ফলে নদী থেকে বোরো আমনের জমিতে প্রচুর কচুরিপানা প্রবেশ করে আমন ধানের ফসল সহ জমি নষ্ট করেছে।প্রতি বছর আমন ধানের চাউল ও পশু খাদ্য খড় বিক্রি করে জমিতে আলু রোপণের জন্য আলু বীচ,স্যার,কীটনাশক ক্রয় করতাম।এ বছর আর পারবো না।এ বছর আলুর বীচ ও সারের যে মূল্য বেড়েছে হয়তো আমরা সার বীচের অভাবে কিছুই উৎপাদন করতে পারবো না।তাই সরকারি সহযোগিতা চাই।সরকার আমাদের পাশে দাড়ালে হয়তো আমরা শতশত কৃষক ঘুরে দাড়াতে পারবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল আরাফাত বিন সিদ্দিক জানায় গজারিয়ায় এ বছর বোনা আমন ১৫৭২ হেক্টর, রোপা আমন ২৬ হেক্টর জমিতে রোপন হয়েছে।


























