নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় আগাম জাতের আলু তোলা শুরু হয়েছে। ক্ষেত থেকেই সেই নতুন আলু ৯০ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রয় করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে আগামা জাতের আলু ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলার রণচন্ডী ইউনিয়নের কুঠিপাড়া গ্রামে ফসলের ক্ষেত থেকেই আলু বিক্রয় করতে দেখা যায়। এসময় দেখা যায়, মাঠে কেউ মাটি খুঁড়ছেন, কেউ আলু কুড়াচ্ছেন, কেউ বস্তা ভরছেন। কোথাও আবার ডিজিটাল মিটারে আলুর বস্তা ওজন করার কাজ করছে। তারপর ক্ষেতেই গাড়ি ভরে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় কৃষকেরা বলেন, প্রতি বছর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ক্ষুদ্র-প্রান্তিক কৃষক আগাম জাতের আমন ধান ঘরে তুলে সেই জমিতে আগাম বাজার ধরার আশায় আগেভাগে আলুর বীজ বপন করেন। কয়েক দিনের মধ্যে মাঠ থেকে পুরোপুরি আলু তোলা শুরু হবে। চলতি বছর ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষক আনারুল ইসলাম বলেন, গত মধ্য সেপ্টেম্বরে আলু বীজ বপন করা হয়েছিল। ৫৫ থেকে ৬০ দিনে ফলনযোগ্য আগাম আলু উত্তোলন করছি। জমিতে নারী-পুরুষ মিলে ২০ জন শ্রমিক কাজ করছে। আগাম হিসেবে ফলন কিছুটা কম হলেও বাড়তি খরচ ছাড়া ক্ষেতেই ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। আরেক কৃষক আকবর হোসেন বলেন, আগাম আলু বপন করেছিলাম। খরচ বাদ দিয়ে লাভ ভালো হবে। কেজিপ্রতি আলু ৯০ টাকা দরে ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রয় হয়েছে। ঢাকা থেকে আলু ক্রয় বরতে আসা ব্যবসায়ী মাসুদ রানা বলেন, প্রতি বছর এখান থেকে আগাম জাতের আলু ক্রয় করে রাজশাহী, বগুড়া, ঢাকায় বিক্রয় করা হয়। এখান থেকে আগাম আলু ক্রয় করে ঢাকায় বিক্রয় করলে বর্তমান বাজারে যাতায়াত খরচ বাদে লাভ হবে আশা করা হচ্ছে। এবিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, প্রতি বছর উপজেলার কৃষকেরা আগাম সেভেন জাতের আলু চাষ করে থাকেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম জাতের আলু তোলা শুরু হয়েছে। চলতি বছর ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম আলু ৪ হাজার ৭০০ হেক্টর। এবার কৃষক আগাম আলু ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করছেন।


























