১০:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বোর্ড সভার অভাবে সম্পন্ন হয়নি নিয়োগ,শিক্ষক ও শ্রেণী সংকটে ব্যাহত ববির শিক্ষা কার্যক্রম

নান সংকটে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষক ও শ্রেণী সংকটে বিপর্যয়ের মুখে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক সংকট থাকলেও প্রয়োজনীয় বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় ২০২৪ সালের জুনে প্রকাশিত নিয়োগ কার্যক্রম এখনো সম্পন্ন হয়নি।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ২৫টি বিভাগের পাঠদানের জন্য মাত্র ৩৬টি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে, যেখানে প্রয়োজন প্রায় ৭৫টি শ্রেণিকক্ষ। এই ঘাটতির কারণে অনেক বিভাগকে শ্রেণিকক্ষ ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে হচ্ছে, যা পাঠদানে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে এবং সেশনজটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৬৭ জন শিক্ষক দিয়ে চলে ২৫ টি বিভাগের প্রায় ১৫০টি ব্যাচের শিক্ষা কার্যক্রম। এর মধ্যে অনেকে আবার শিক্ষা ছুটিতে থাকায় পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
এই শিক্ষক সংকটের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত প্রায় ১:৬৫, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ১:২০ হওয়া উচিত। ফলে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে এবং সেশনজটের সম্ভাবনা বাড়ছে
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, প্রশাসনিক জটিলতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে ধীরগতির কারণে এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী রূপ নিচ্ছে। দ্রুত নিয়োগ ও শ্রেণী সংকট দূর না হলে ভবিষ্যতে একাডেমিক ক্ষতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।বিভাগগুলোর নিয়মিত শ্রেণিকক্ষ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান আহসানুল হক তার ফেসবুক পোস্টে বলেন,আমরা দুজন শিক্ষক ৫ থেকে ৬ টা ব্যাচ নিয়ে বিভাগ চালাচ্ছি। কয়েকজন খন্ডকালীন শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও আমরা দুজন শিক্ষককে ১৮ থেকে ২০ টি কোর্স পড়াতে হচ্ছে।গত নয় মাস ধরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া থাকলেও বিগত প্রশাসনকে অনুরোধ করেও নিয়োগ সম্পন্ন করাতে পারেনি।তিনি প্রশ্ন রাখেন-
একজন শিক্ষক ১৮-২০ টা কোর্স নিয়ে কিভাবে কোয়ালিটি এডুকেশন প্রোভাইড করবে আর তার উচ্চশিক্ষার ভবিষ্যত কি হতে পারে?কোন বিভাগ এরকমভাবে চলতে পারে কি?
তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিন নিয়োগ সম্পন্ন না হওয়ার জন্য ঐ সময় দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিকে কারণ হিসাবে দেখিয়েছিলেন।ঐ সময় দ্রুত এসব সংকট নিরসনের আশ্বাস দিলেও তার নানা অনিয়ম এর ফলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এর মুখে তাকে উপাচার্যের পদ থেকে ১৩ই মে অব্যহতি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য নিযুক্ত অন্তবর্তিকালীন উপাচার্য তৌফিক আলম বলেন,আমি অনেক বিষয়ে এখনো অবগত না।শিক্ষকের বিষয়ে অনেক শিক্ষকের প্রমোশন আটকে আছে এটা আমার প্রথম প্রায়োরিটি এরপর নিয়োগের ব্যাপারটা।আমি ফাইলপত্র দেখে ধাপে ধাপে কাজগুলো করবো।
জনপ্রিয় সংবাদ

সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, ভরি ছাড়াল দুই লাখ ২৭ হাজার

বোর্ড সভার অভাবে সম্পন্ন হয়নি নিয়োগ,শিক্ষক ও শ্রেণী সংকটে ব্যাহত ববির শিক্ষা কার্যক্রম

আপডেট সময় : ০৪:২৭:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
নান সংকটে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষক ও শ্রেণী সংকটে বিপর্যয়ের মুখে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক সংকট থাকলেও প্রয়োজনীয় বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় ২০২৪ সালের জুনে প্রকাশিত নিয়োগ কার্যক্রম এখনো সম্পন্ন হয়নি।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ২৫টি বিভাগের পাঠদানের জন্য মাত্র ৩৬টি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে, যেখানে প্রয়োজন প্রায় ৭৫টি শ্রেণিকক্ষ। এই ঘাটতির কারণে অনেক বিভাগকে শ্রেণিকক্ষ ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে হচ্ছে, যা পাঠদানে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে এবং সেশনজটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৬৭ জন শিক্ষক দিয়ে চলে ২৫ টি বিভাগের প্রায় ১৫০টি ব্যাচের শিক্ষা কার্যক্রম। এর মধ্যে অনেকে আবার শিক্ষা ছুটিতে থাকায় পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
এই শিক্ষক সংকটের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত প্রায় ১:৬৫, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ১:২০ হওয়া উচিত। ফলে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে এবং সেশনজটের সম্ভাবনা বাড়ছে
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, প্রশাসনিক জটিলতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে ধীরগতির কারণে এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী রূপ নিচ্ছে। দ্রুত নিয়োগ ও শ্রেণী সংকট দূর না হলে ভবিষ্যতে একাডেমিক ক্ষতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।বিভাগগুলোর নিয়মিত শ্রেণিকক্ষ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান আহসানুল হক তার ফেসবুক পোস্টে বলেন,আমরা দুজন শিক্ষক ৫ থেকে ৬ টা ব্যাচ নিয়ে বিভাগ চালাচ্ছি। কয়েকজন খন্ডকালীন শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও আমরা দুজন শিক্ষককে ১৮ থেকে ২০ টি কোর্স পড়াতে হচ্ছে।গত নয় মাস ধরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া থাকলেও বিগত প্রশাসনকে অনুরোধ করেও নিয়োগ সম্পন্ন করাতে পারেনি।তিনি প্রশ্ন রাখেন-
একজন শিক্ষক ১৮-২০ টা কোর্স নিয়ে কিভাবে কোয়ালিটি এডুকেশন প্রোভাইড করবে আর তার উচ্চশিক্ষার ভবিষ্যত কি হতে পারে?কোন বিভাগ এরকমভাবে চলতে পারে কি?
তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিন নিয়োগ সম্পন্ন না হওয়ার জন্য ঐ সময় দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিকে কারণ হিসাবে দেখিয়েছিলেন।ঐ সময় দ্রুত এসব সংকট নিরসনের আশ্বাস দিলেও তার নানা অনিয়ম এর ফলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এর মুখে তাকে উপাচার্যের পদ থেকে ১৩ই মে অব্যহতি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য নিযুক্ত অন্তবর্তিকালীন উপাচার্য তৌফিক আলম বলেন,আমি অনেক বিষয়ে এখনো অবগত না।শিক্ষকের বিষয়ে অনেক শিক্ষকের প্রমোশন আটকে আছে এটা আমার প্রথম প্রায়োরিটি এরপর নিয়োগের ব্যাপারটা।আমি ফাইলপত্র দেখে ধাপে ধাপে কাজগুলো করবো।