যশোরে শীতকালীন সবজিতে বাম্পার ফলন হয়েছে। নানা রকমের সবজি বাজারজাত করতে বর্তমানে চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। দামও বেশি পাওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। এখানকার উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে দেশ বিদেশে। চাষিরা জানিয়েছেন, গত মৌসুমে সবজি চাষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও এবার লাভবান হবেন।
কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, দেশের সবজির একটি বড় অংশ উৎপাদিত হয় যশোরে। এই বছরও যশোর জেলায় ১৯ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় শীতকালীন আগাম সবজির চাষ হয়েছে ৩ হাজার ৩শ’ হেক্টর।
চুড়ামনকাটি ও হৈবতপুর ইউনিয়নের সবজি চাষি মিজানুর রহমান,আশাদুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন জানান, এবারের মৌসুমে সব ধরণের সবজিতে বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমান বাজার মূল্য বেশি থাকায় তারা প্রতিদিনই সবজি বাজারজাত করছেন। সময়োপযোগী আবহাওয়া ও পরিমান মতো বৃষ্টির কারণে ফলন হয়েছে। তাই এবার লাভবান হবেন বলে আশাবাদী। চাষিরা আরো জানান, এখন বাজার দর ভালো তবে বরাবরের মতো কয়েকদিন পরে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সবজির দাম কমিয়ে দেবে। তখন তারা কম দামে সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হবেন। সবজির রাজ্য বারীনগর ও চুড়ামনকাটি এলাকায় যদি একটি কোল্ড-স্টোরেজ থাকতো তাহলে দাম কমের সময় সবজি সংরক্ষণ করে রাখা যেতো। পরে বাজার বুঝে বেশি দামে বিক্রি করতে পারলে কৃষক আরো লাভবান হতো।
চুড়ামনকাটি ও বারীনগর বাজারে গিয়ে দেখা যায় শীতকালীন সবজিতে বাজার ঠাসা রয়েছে। যেদিকে চোখ যায় সেদিকে রয়েছে মুলা, টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, সিম,বেগুন, ঢেঁড়স, পটল, শসা, পুইশাক লালশাক, পালংশাকসহ নানা ধরণের সবজি। সাত সকালে ক্ষেত থেকে সবজি তুলে হাটে এনেছেন চাষীরা। ক্রেতা-বিক্রেতা ও আড়তদারের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। চাষিদের কাঙ্খিত দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে। অর্থাৎ পাইকার হাটের তুলনায় খুচরা হাটে ক্রেতারা ঠকছেন।


























