০৮:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাসে নারী শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে হেনস্তার অভিযোগ

বাস হেল্পার কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে প্রথমে চাকরীর প্রলোভন এবং পরে শারীরিকভাবে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী শিক্ষার্থী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর, সকাল ৭.২৫ এ ক্যাম্পাস থেকে শহরগামী বাসে আসার জন্য লাইব্রেরির সামনে একা বসে ছিলেন ঐ শিক্ষার্থী। এমতাবস্থায় বাসের হেল্পারকে(অভিযুক্ত ব্যক্তি) বাস ছাড়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। তখন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে কুয়াশার মধ্যে বাহিরে না বসে, বাসের ভিতরে বসতে বলেন অভিযুক্ত হেল্পার। তারপর কৌশলে অভিযুক্ত এহিয়া শিকদার ঐ শিক্ষার্থীর সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাকে বিনা পয়সায় বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরী দেওয়ার কথা বলা হয়। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদে তার লোক আছে বলা হয় এবং সেকশন অফিসার পদে চাকরি পেতে শিক্ষার্থীর কোনো সমস্যা হবে না বলে জানানো হয়। এক পর্যায়ে সে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলতে শুরু করে এবং ছবি তুলে দেওয়ার নাম করে শিক্ষার্থীর হাতে থাকা ফুল নিয়ে নেয়। তারপর বাসের পাশের সিট থেকে উঠে এসে শিক্ষার্থীর পায়ে হাত দেয়। এবং তাকে হেনস্তা করে।

আরেকটি সূত্র জানায়, অভিযুক্ত বাস হেলপার এহিয়া শিকদারের বিরুদ্ধে কোর্টে ফৌজদারি মামলা চলমান রয়েছে। এবং তিনি অনেক ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরীর দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে মৌখিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, বাসের ভিতর এমনটা হবে তা আমি ভাবিনি। এমনটা জানলে আমি ঐ ব্যক্তির সাথে কথাই বলতাম না। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক বলেন, বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আমাকে প্রথম মৌখিক অভিযোগ জানায়। পরে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করে৷ এবিষয়ে আমি যেহেতু অভিযোগ পেয়েছি সেহেতু এটা নিয়ে আমি প্রক্টরের সাথে কথা বলেছি। ঘটনা সত্য হয়ে থাকলে অভিযুক্ত ব্যক্তি অবশ্যই শাস্তি পাবে৷

অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এটি নিয়ে রেজিস্ট্রার স্যারের সাথে কথা বলেছি। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবো। এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।

অভিযুক্ত এহিয়া শিকদার বলেন, ঘরে আমার ৩টি মেয়ে আছে, একটি পরিবার আছে। এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। আপনি ওনার সাথে কথা বলোন।

জনপ্রিয় সংবাদ

রামু সেনানিবাসে তিন দিনব্যাপী গলফ টুর্নামেন্ট শেষ, বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ

বাসে নারী শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে হেনস্তার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৩:০২:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

বাস হেল্পার কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে প্রথমে চাকরীর প্রলোভন এবং পরে শারীরিকভাবে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী শিক্ষার্থী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর, সকাল ৭.২৫ এ ক্যাম্পাস থেকে শহরগামী বাসে আসার জন্য লাইব্রেরির সামনে একা বসে ছিলেন ঐ শিক্ষার্থী। এমতাবস্থায় বাসের হেল্পারকে(অভিযুক্ত ব্যক্তি) বাস ছাড়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। তখন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে কুয়াশার মধ্যে বাহিরে না বসে, বাসের ভিতরে বসতে বলেন অভিযুক্ত হেল্পার। তারপর কৌশলে অভিযুক্ত এহিয়া শিকদার ঐ শিক্ষার্থীর সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাকে বিনা পয়সায় বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরী দেওয়ার কথা বলা হয়। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদে তার লোক আছে বলা হয় এবং সেকশন অফিসার পদে চাকরি পেতে শিক্ষার্থীর কোনো সমস্যা হবে না বলে জানানো হয়। এক পর্যায়ে সে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলতে শুরু করে এবং ছবি তুলে দেওয়ার নাম করে শিক্ষার্থীর হাতে থাকা ফুল নিয়ে নেয়। তারপর বাসের পাশের সিট থেকে উঠে এসে শিক্ষার্থীর পায়ে হাত দেয়। এবং তাকে হেনস্তা করে।

আরেকটি সূত্র জানায়, অভিযুক্ত বাস হেলপার এহিয়া শিকদারের বিরুদ্ধে কোর্টে ফৌজদারি মামলা চলমান রয়েছে। এবং তিনি অনেক ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরীর দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে মৌখিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, বাসের ভিতর এমনটা হবে তা আমি ভাবিনি। এমনটা জানলে আমি ঐ ব্যক্তির সাথে কথাই বলতাম না। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক বলেন, বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আমাকে প্রথম মৌখিক অভিযোগ জানায়। পরে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করে৷ এবিষয়ে আমি যেহেতু অভিযোগ পেয়েছি সেহেতু এটা নিয়ে আমি প্রক্টরের সাথে কথা বলেছি। ঘটনা সত্য হয়ে থাকলে অভিযুক্ত ব্যক্তি অবশ্যই শাস্তি পাবে৷

অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এটি নিয়ে রেজিস্ট্রার স্যারের সাথে কথা বলেছি। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবো। এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।

অভিযুক্ত এহিয়া শিকদার বলেন, ঘরে আমার ৩টি মেয়ে আছে, একটি পরিবার আছে। এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। আপনি ওনার সাথে কথা বলোন।