০৩:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিজের কৌশল জানালেন অ্যালেক্স

৩১ বছর বয়সি অ্যালেক্স রস দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে অনুশীলন করেন। মিরপুরের একাডেমি মাঠে গতকাল লম্বা সময় নিয়ে ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন। অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘খুবই রোমাঞ্চিত। সবকিছুই খুব দ্রুত হয়ে গেল। দলের সঙ্গে যোগ দিতে পেরে রোমাঞ্চিত। আমি টিভিতে বিপিএল দেখেছি কিছুটা। প্রথম ম্যাচটা ফ্লাইটে বসে দেখেছি। ছেলেরা খুব ভালো খেলেছে। আমি দলের সঙ্গে যোগ দিতে পেরে রোমাঞ্চিত।’

সুইপ শটটা ভালো খেলেন বলে তার নামের পাশে ধারাভাষ্যকাররা ‘সুইপলজিস্ট’ উপাধিটা জুড়ে দিয়েছেন। সপ্তাহখানেক আগেও যিনি ব্যস্ত ছিলেন বিগ ব্যাশে। তবে তার দল সিডনি থান্ডার প্লে অফে জায়গা করে নিতে পারেনি। বিদায় নিশ্চিতের পরই দুর্দান্ত ঢাকায় খেলার প্রস্তাব পেয়ে লুফে নেন। সর্বশেষ লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে ডাম্বুলা অরার হয়ে খেলেছেন রস।

সে অভিজ্ঞতা এবার বিপিএলে কাজে লাগাতে চান, ‘আমি আজ (গতকাল) নেটে লম্বা সময় ব্যাটিং করেছি। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। আমি শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ খেলেছি গত বছর। ওইখানে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, তা এখানে কাজে দেবে। অনুশীলন উইকেটে অনেক মিল। তবে আমি দলের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে শুনেছি, ম্যাচের উইকেট কিছুটা ভালো।’

বিগ ব্যাশের এবারের মৌসুমেও বেশ কিছু উইকেট স্পিন-সহায়ক ছিল, যা অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের স্পিন-পরীক্ষার মুখে ফেলেছে। রস জানালেন, ‘আমরা এবার বিগ ব্যাশে কিছু ম্যাচে বাজে উইকেট পেয়েছি। কিছুটা অভিজ্ঞতা হয়েছে স্পিন করা বলের বিপক্ষে খেলে, উইকেটও মন্থর ছিল। তবে টিভিতে যা দেখলাম, তার সঙ্গে সব সময় মিলবে না। আমি শুধু এখানে খেলার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’

এ ধরনের কন্ডিশনের জন্য যে দক্ষতা দরকার, তা অবশ্য রসের আছে। সুইপ শটের জন্য তিনি পরিচিত। এখানেও তা কার্যকর হবে বলে মনে করেন রস, ‘আমার মনে হয়, সুইপ এখানে খুব কার্যকর হবে। আপনি ক্রিজ ছেড়ে খেলতে চাইবেন না খুব একটা। সুইপ ও রিভার্স সুইপ এভাবে যদি কিছু বাউন্ডারি পাওয়া যায়, সে চেষ্টা করব। বিশেষ করে টি-২০ তে আপনি যদি স্পিনের বিপক্ষে চাপ সৃষ্টি করতে পারেন, তাহলে ভালো। আশা করি, আমি সেটা করতে পারব।’

তবে অন্য সবার মতো রসও সিলেট ও চট্টগ্রামের উইকেটে ব্যাটিং করার জন্য উন্মুখ। বড় রানের ম্যাচ দর্শকেরা দেখতে চান, ক্রিকেটাররাও খেলতে চান। তার কৌশল নিয়ে বলেন, ‘দলকে সাহায্য করতে চাইব, যে করেই হোক। বিশেষ করে ইনিংসের শেষের দিকে চার-ছক্কা মারা, দর্শকদের বিনোদন দেয়া। আমি এরই মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে অন্য দুটি মাঠ (সিলেট ও চট্টগ্রাম) নিয়ে কথা বলেছি। আমি জানি যে ব্যাটসম্যানরা সেখানে খেলতে মুখিয়ে আছে।’

 

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

নিজের কৌশল জানালেন অ্যালেক্স

আপডেট সময় : ১০:০৯:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪

৩১ বছর বয়সি অ্যালেক্স রস দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে অনুশীলন করেন। মিরপুরের একাডেমি মাঠে গতকাল লম্বা সময় নিয়ে ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন। অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘খুবই রোমাঞ্চিত। সবকিছুই খুব দ্রুত হয়ে গেল। দলের সঙ্গে যোগ দিতে পেরে রোমাঞ্চিত। আমি টিভিতে বিপিএল দেখেছি কিছুটা। প্রথম ম্যাচটা ফ্লাইটে বসে দেখেছি। ছেলেরা খুব ভালো খেলেছে। আমি দলের সঙ্গে যোগ দিতে পেরে রোমাঞ্চিত।’

সুইপ শটটা ভালো খেলেন বলে তার নামের পাশে ধারাভাষ্যকাররা ‘সুইপলজিস্ট’ উপাধিটা জুড়ে দিয়েছেন। সপ্তাহখানেক আগেও যিনি ব্যস্ত ছিলেন বিগ ব্যাশে। তবে তার দল সিডনি থান্ডার প্লে অফে জায়গা করে নিতে পারেনি। বিদায় নিশ্চিতের পরই দুর্দান্ত ঢাকায় খেলার প্রস্তাব পেয়ে লুফে নেন। সর্বশেষ লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে ডাম্বুলা অরার হয়ে খেলেছেন রস।

সে অভিজ্ঞতা এবার বিপিএলে কাজে লাগাতে চান, ‘আমি আজ (গতকাল) নেটে লম্বা সময় ব্যাটিং করেছি। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। আমি শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ খেলেছি গত বছর। ওইখানে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, তা এখানে কাজে দেবে। অনুশীলন উইকেটে অনেক মিল। তবে আমি দলের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে শুনেছি, ম্যাচের উইকেট কিছুটা ভালো।’

বিগ ব্যাশের এবারের মৌসুমেও বেশ কিছু উইকেট স্পিন-সহায়ক ছিল, যা অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের স্পিন-পরীক্ষার মুখে ফেলেছে। রস জানালেন, ‘আমরা এবার বিগ ব্যাশে কিছু ম্যাচে বাজে উইকেট পেয়েছি। কিছুটা অভিজ্ঞতা হয়েছে স্পিন করা বলের বিপক্ষে খেলে, উইকেটও মন্থর ছিল। তবে টিভিতে যা দেখলাম, তার সঙ্গে সব সময় মিলবে না। আমি শুধু এখানে খেলার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’

এ ধরনের কন্ডিশনের জন্য যে দক্ষতা দরকার, তা অবশ্য রসের আছে। সুইপ শটের জন্য তিনি পরিচিত। এখানেও তা কার্যকর হবে বলে মনে করেন রস, ‘আমার মনে হয়, সুইপ এখানে খুব কার্যকর হবে। আপনি ক্রিজ ছেড়ে খেলতে চাইবেন না খুব একটা। সুইপ ও রিভার্স সুইপ এভাবে যদি কিছু বাউন্ডারি পাওয়া যায়, সে চেষ্টা করব। বিশেষ করে টি-২০ তে আপনি যদি স্পিনের বিপক্ষে চাপ সৃষ্টি করতে পারেন, তাহলে ভালো। আশা করি, আমি সেটা করতে পারব।’

তবে অন্য সবার মতো রসও সিলেট ও চট্টগ্রামের উইকেটে ব্যাটিং করার জন্য উন্মুখ। বড় রানের ম্যাচ দর্শকেরা দেখতে চান, ক্রিকেটাররাও খেলতে চান। তার কৌশল নিয়ে বলেন, ‘দলকে সাহায্য করতে চাইব, যে করেই হোক। বিশেষ করে ইনিংসের শেষের দিকে চার-ছক্কা মারা, দর্শকদের বিনোদন দেয়া। আমি এরই মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে অন্য দুটি মাঠ (সিলেট ও চট্টগ্রাম) নিয়ে কথা বলেছি। আমি জানি যে ব্যাটসম্যানরা সেখানে খেলতে মুখিয়ে আছে।’