পূর্বে ঘটে যাওয়া নারী উত্যক্তের ঘটনায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সাবেক শিক্ষার্থী শফিকুর রহমান ওরফে শফিক মুন্সির বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় দেয়া দুটি মুচলেকা প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা যায়, গত ২৫শে ডিসেম্বর ২০২২ সালে প্রথম মুচলেকা দেন এবং এর একবছর পর গত ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে দ্বিতীয় মুচলেকা দেন শফিক মুন্সি।
যেখানে তিনি অঙ্গীকার করে বলেন, আমি ভবিষ্যতে তার (অভিযোগকারী ছাত্রী) সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো ধরনের পোস্ট বা লেখা শেয়ার করিব না। এমনকি তার (অভিযোগকারী ছাত্রী) ও তার পরিবারের মান ক্ষুন্ন হয় এমন কোনো কাজ করিব না। যদি এর ব্যাত্যয় ঘটাই তাহলে আইনের আমলে আসিতে বাধ্য থাকিব। যেখানে তিনি একই ধরনের বক্তব্য লিখেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীকে মুচলেকা দুটি প্রদান করেন বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযুক্ত শফিক মুন্সি।
সম্প্রতি, গত ২৩ জানুয়ারী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের আরেক নারী শিক্ষার্থী শফিক মুন্সির বিরুদ্ধে প্রক্টর বরাবর মিথ্যা সংবাদ প্রচার ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টার অভিযোগ উঠে। এরপর গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই আলোচনায় আসে শফিক মুন্সির নাম।
ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন৷ বিভাগ ও প্রক্টরিয়াল বডির দুটি ভিন্ন ভিন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে ৷ প্রক্টরিয়াল বডির তদন্ত কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মাহফুজ আলমকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়৷ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ও সহকারী প্রক্টর ফরহাদ উদ্দিন, অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা মারজিয়া নৌমি।


























