০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজিপির আরো ৮৮ সদস্যের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে নতুন করে আরো ৮৮ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। এদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে আবারো তিন বাংলাদেশি আহত হয়েছে।

 

গতকাল দুপুরে টেকনাফের শাহপরীর সাবরাং ইউনিয়ন এবং নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে তারা। তারা নৌকায় নাফ নদ পেরিয়ে টেকনাফের সাবরাং সীমান্তে টেকনাফ কোস্ট গার্ড সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে তাদের কোস্টগার্ড হেফাজতে রাখা হয়েছে। জানা যায়, সকালে নাফ নদ পেরিয়ে টেকনাফের সাবরাং সীমান্তে অস্ত্রসহ বিজিপির ৮৮ সদস্য টেকনাফ কোস্ট গার্ড সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। গত শনিবারও অন্তত ৩৬ বিজিপি পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর মধ্যে সাবরাং আচারবুনিয়া সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন, নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২২ এবং নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে দুইজন প্রবেশ করে। এর আগে, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বিজিপি ছাড়াও দেশটির সেনাবাহিনীর ৬১৮ জনকে দুই দফায় মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল ২৮৮ বিজিপি ও সেনা সদস্য এবং গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।

 

এদিকে গতকাল সকালে উপজেলার ফুলতলী সীমান্তের ৪৭ নম্বর পিলার এলাকায় বিস্ফোরণে আহতরা হলেন কক্সবাজারের রামু উপজেলার মো. রফিক, গর্জনিয়া এলাকার মো. আব্দুল্লাহ ও কচ্ছপিয়া এলাকার রশিদ আহমেদ। এদের মধ্যে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে, শনিবার রাতে একই এলাকায় মাইন বিস্ফোরণে দুই বাংলাদেশি আহত হয়। এরা সবাই অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে সীমান্তের ওপার থেকে গরু আনতে গিয়েছিল বলে জানা গেছে। সেখানে আরাকান আর্মি ও সে দেশের সেনাবাহিনীর পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে তারা আহত হন।

 

 

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আফসার ইমন জানান, খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা। ওই সীমান্তে বিজিবির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

এছাড়াও বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমার জান্তার গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘাঁটি দখল করেছে আরাকান আর্মি (এএ)। জানা গেছে ওই ঘাঁটিটি বর্ডার গার্ড হেডকোয়ার্টার। গত শুক্রবার রাখাইন রাজ্যের উত্তর মংডু টাউনশিপে হেডকোয়ার্টার দখলের পর এএ’র সৈন্যরা মংডু শহরে প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে। খবর ইরাবতির। এর আগে মংডু থেকে ১২ কিলোমিটার উত্তরে কি কান পাইন ক্যাম্প আক্রমণ করেছিল আরাকান আর্মি। সেটা প্রতিহত করেছিল জান্তা পুলিশ ও সৈন্যরা। ঘাঁটি পতনের আগে জান্তা তাদের কমান্ডারদের হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নিয়েছিল।

বিজিপির আরো ৮৮ সদস্যের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ

আপডেট সময় : ০৯:০৩:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে নতুন করে আরো ৮৮ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। এদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে আবারো তিন বাংলাদেশি আহত হয়েছে।

 

গতকাল দুপুরে টেকনাফের শাহপরীর সাবরাং ইউনিয়ন এবং নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে তারা। তারা নৌকায় নাফ নদ পেরিয়ে টেকনাফের সাবরাং সীমান্তে টেকনাফ কোস্ট গার্ড সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে তাদের কোস্টগার্ড হেফাজতে রাখা হয়েছে। জানা যায়, সকালে নাফ নদ পেরিয়ে টেকনাফের সাবরাং সীমান্তে অস্ত্রসহ বিজিপির ৮৮ সদস্য টেকনাফ কোস্ট গার্ড সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। গত শনিবারও অন্তত ৩৬ বিজিপি পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর মধ্যে সাবরাং আচারবুনিয়া সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন, নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২২ এবং নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে দুইজন প্রবেশ করে। এর আগে, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বিজিপি ছাড়াও দেশটির সেনাবাহিনীর ৬১৮ জনকে দুই দফায় মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল ২৮৮ বিজিপি ও সেনা সদস্য এবং গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।

 

এদিকে গতকাল সকালে উপজেলার ফুলতলী সীমান্তের ৪৭ নম্বর পিলার এলাকায় বিস্ফোরণে আহতরা হলেন কক্সবাজারের রামু উপজেলার মো. রফিক, গর্জনিয়া এলাকার মো. আব্দুল্লাহ ও কচ্ছপিয়া এলাকার রশিদ আহমেদ। এদের মধ্যে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে, শনিবার রাতে একই এলাকায় মাইন বিস্ফোরণে দুই বাংলাদেশি আহত হয়। এরা সবাই অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে সীমান্তের ওপার থেকে গরু আনতে গিয়েছিল বলে জানা গেছে। সেখানে আরাকান আর্মি ও সে দেশের সেনাবাহিনীর পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে তারা আহত হন।

 

 

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আফসার ইমন জানান, খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা। ওই সীমান্তে বিজিবির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

এছাড়াও বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমার জান্তার গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘাঁটি দখল করেছে আরাকান আর্মি (এএ)। জানা গেছে ওই ঘাঁটিটি বর্ডার গার্ড হেডকোয়ার্টার। গত শুক্রবার রাখাইন রাজ্যের উত্তর মংডু টাউনশিপে হেডকোয়ার্টার দখলের পর এএ’র সৈন্যরা মংডু শহরে প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে। খবর ইরাবতির। এর আগে মংডু থেকে ১২ কিলোমিটার উত্তরে কি কান পাইন ক্যাম্প আক্রমণ করেছিল আরাকান আর্মি। সেটা প্রতিহত করেছিল জান্তা পুলিশ ও সৈন্যরা। ঘাঁটি পতনের আগে জান্তা তাদের কমান্ডারদের হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নিয়েছিল।