আজ পহেলা জানুয়ারি। নতুন বছরের প্রথমদিন। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ প্রিয়জনকে নতুন বছরের বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। উপহারের মধ্যে সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে ফুল।
ফুলের আদান প্রদানের মাধ্যমে পারস্পরিক বিশ্বাস, প্রতিশ্রুতি, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এছাড়া নিজেকে সাজাতে ফুলের জুড়ি নেই। নতুন বছরে প্রথমদিন তরুণীরা কানে দুল, গলায় মালা ও হাতে ফুলের বাহারি অলঙ্কার পরার পাশাপাশি চুলের এক পাশে তাজা ফুল ক্লিপ দিয়ে সাঁটিয়ে ঘুরে বেড়ান। তবে ফুল ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন ইংরেজি বর্ষবরণের যে আমেজ সেটি এ বছর নানা কারণে ভাটা পড়েছে মনে হচ্ছে। বেচাবিক্রির অবস্থা খুবই খারাপ। এখন ফুলের মৌসুম। প্রত্যেক দোকানির কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ দেশি বিদেশি ফুলের মজুদ রয়েছে। সে অনুপাতে কিন্তু আবার ক্রেতার সংকট রয়েছে।
নগরী ফুলের বাজার চেরাগী পাহাড় এবং আশপাশের কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা যায়, দোকানগুলোতে বাহারি রঙের ফুলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। কেউ আবার ফুলের গহনা, মাথার রিং ও খোঁপায় পরার নানান ধরনের ফুলের লহর তৈরি করছেন। বিক্রেতারা জানান, নতুন বছরকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা সব ধরণের প্রস্তুতি সেরে নিয়েছেন। অন্য বছর ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রচুর পরিমাণ ফুলের ঝুড়ি ও তোড়ার অর্ডার পাওয়া যেত। এ বছর সেটি অর্ধেকে নেমে এসেছে।
ফুলের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতিটি দেশি গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকায়, চীনা গোলাপ ১৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, রজনীগন্ধা স্টিক ১০ থেকে ১৫ টাকা, জারবেরা ২০ থেকে ২৫ টাকা, গাঁদা ফুল লহর ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চন্দ্রমল্লিকা স্টিক ১০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, জারবেরা প্রতিটি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, প্রতিটি দেশি গ্লাডিওলাস ২৫ থেকে ৩০ টাকা, প্রতি বান্ডেল চীনা জিপসি ফুল ৩ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা, দেশী জিপসি ফুল ২০ থেকে ৪০ টাকা এবং গাঁজরা ফুল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায়।
নগরীর চেরাগীর মোড়ের একটি ফুলের দোকানে সামনে কথা হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সাজিয়া সুলতানার সাথে। তিনি বলেন, পরিবারের লোকজনের সাথে বছরের প্রথমদিন কাটাবো। পবিরারের সদস্যদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ফুল কিনতে এসেছি। তবে দাম গত বছরের তুলনায় একটু বেশি।
চট্টগ্রাম ফুল ব্যবসায়ী ও চাষি বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. কুতুব উদ্দিন বলেন, ফুলের বাজার এ বছর মন্দাবস্থা বিরাজ করছে। ফুলের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে, কিন্তু ক্রেতা নাই। দেকাানিরা ক্রেতার সংকটে আছে। আমাদের প্রতিটি দোকানে ভারত ও চীন থেকে আমদানি করা ফুল ছাড়াও বিভিন্ন ধরণের দেশি ফুলও রয়েছে।


























