চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত স্কুলগুলোতে হেলথ প্রোগ্রাম ও পরিবেশ সচেতনতা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন, প্রতিটি স্কুলে ‘পরিবেশ ক্লাব’ গড়ে তোলা হবে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাস্তাঘাট, নালা-নর্দমা পরিষ্কারসহ নানামুখী জনসচেতনতা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।

মেয়র বলেন, কিশোরগ্যাং, মাদকাসক্তি ও ইভটিজিংয়ের মতো সামাজিক ব্যাধি থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখতে স্কুল কর্তৃপক্ষ, অভিভাবক ও স্থানীয় সমাজসেবকদের সমন্বয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

এই মন্তব্য তিনি বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জামালখান কুসুম কুমারী সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জানান। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “আমরা চাই সিটি করপোরেশনের শিক্ষার্থীরা শুধু ভালো ফলাফল করুক তা নয়, তারা যেন নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবেও গড়ে ওঠে। তোমরা দেশের ভবিষ্যৎ। তোমাদের নৈতিক শিক্ষা, মানবিকতা আর দেশপ্রেম আগামী দিনের চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে।”

মেয়র আরও বলেন, শুধু পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা নয়, নৈতিক শিক্ষার দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, একজন ডাক্তার উচ্চশিক্ষিত হলেও দরিদ্রদের চিকিৎসা করতে না পারলে তার শিক্ষার কোনো মূল্য নেই। একইভাবে, মেধাবী শিক্ষক যদি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পড়ানোর সুযোগ না পান, তবে তার অর্জিত শিক্ষা সমাজের জন্য তেমন কোনো উপকার বয়ে আনবে না।

ডা. শাহাদাত হোসেন ক্রীড়ার গুরুত্বকেও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “সুস্থ দেহ ও মন গঠনে ক্রীড়া অপরিহার্য। ক্রীড়া শিক্ষার্থীদের একাগ্রতা, শৃঙ্খলা, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও দায়িত্ববোধ গড়ে তোলে।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ডা. কিসিঞ্জার চাকমা, শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, সমাজসেবক মনজুর রহমান চৌধুরী, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লোকমান উদ্দিন, সাবেক প্রধান শিক্ষিকা লিলি বড়ুয়া, সৌমনাথ দাশ রাজু, রতন চৌধুরী প্রমুখ।

শুভ/সবা