০৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ট শিক্ষার্থীরাঃ প্রশাসনের হস্তক্ষেপের আশা

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ। এর সাথে যুক্ত হয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। এতে অতিষ্ট জনজীবন। এরই মধ্যে বিদ্যুতের অভাবে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নিয়মিত ক্লাস বাদ দিয়ে নিজ নিজ মেসে ফিরে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এমনি ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(বশেমুরবিপ্রবি)।
গত কয়েকদিন যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে। নিয়মিতভাবে আবাসিক হল, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবন, একাডেমিক ভবন এবং প্রশাসনিক ভবনে চলছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারনে তীব্র গরমে শ্রেণীকক্ষগুলোতে নিয়মিত পাঠদান সম্ভব হচ্ছেনা। অনেক বিভাগে চলছে পরীক্ষা। তীব্র গরমে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়েছে পরীক্ষা দিচ্ছে। এতে  অনেক শিক্ষার্থী শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
আবাসিক হলগুলোতেও চলছে একই অবস্থা। তাছাড়া আবাসিক হলের গণরুমগুলোতে প্রবেশ করলে মনে যেন আগুনের গোহায় প্রবেশ করা হয়েছে। এতে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিন একাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বিদ্যুতের তীব্র অভাবে অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনেরও একই অবস্থা। বিদ্যুতের এমন অবস্থা দেখে পূর্বের তুলনায় শিক্ষার্থীরা এখন গ্রন্থাগারে যাচ্ছেনা।
এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রন্থাগারে নিয়মিত পড়ুয়া গণিত বিভাগ ২০১৯-২০সেশনের এক শিক্ষার্থী বলেন, সামনে আমার পরীক্ষা। মেসে ঠিকভাবে পড়তে পারিনা। সেজন্য গ্রন্থাগারে পড়তে আসি। কিন্তু এখানে বিদ্যুতের মারাত্মক সমস্যা। দিনের বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকেনা। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আমার মত বাকি শিক্ষার্থীদের অবস্থা বেগতিক হয়ে যাবে।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারন কী? এ সম্পর্কে  বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফর্মারের ধারন ক্ষমতা কম। একসাথে এগুলো জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করলে ট্রান্সফর্মার নষ্ট হয়ে যাবে। একবার ট্রান্সফর্মার নষ্ট হয়ে গেলে এটা সাড়াতে অনেক সময় লাগবে। সেজন্য আমরা যতটুকু বিদ্যুৎ পাচ্ছি সেটা প্রতিটি জায়গায় অল্প অল্প করে সরবরহ  করছি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থী বিদ্যুতের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে। এটা আমরা অনুভব করছি। সেজন্য আমরা খুব দ্রুত এবিষয়ে বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছি। আশা করি খুব দ্রুত ব্যবস্থা করতে পারবো।
উল্লেখ, গত ১৬মে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে উপাচার্য দপ্তরে অবস্থান করেন সাধারন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এর পরেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জনপ্রিয় সংবাদ

ইয়েমেনের দক্ষিণে সৌদি বিমান হামলার অভিযোগ, নতুন করে উত্তেজনার আশঙ্কা

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ট শিক্ষার্থীরাঃ প্রশাসনের হস্তক্ষেপের আশা

আপডেট সময় : ০৩:১৬:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ। এর সাথে যুক্ত হয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। এতে অতিষ্ট জনজীবন। এরই মধ্যে বিদ্যুতের অভাবে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নিয়মিত ক্লাস বাদ দিয়ে নিজ নিজ মেসে ফিরে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এমনি ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(বশেমুরবিপ্রবি)।
গত কয়েকদিন যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে। নিয়মিতভাবে আবাসিক হল, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবন, একাডেমিক ভবন এবং প্রশাসনিক ভবনে চলছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারনে তীব্র গরমে শ্রেণীকক্ষগুলোতে নিয়মিত পাঠদান সম্ভব হচ্ছেনা। অনেক বিভাগে চলছে পরীক্ষা। তীব্র গরমে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়েছে পরীক্ষা দিচ্ছে। এতে  অনেক শিক্ষার্থী শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
আবাসিক হলগুলোতেও চলছে একই অবস্থা। তাছাড়া আবাসিক হলের গণরুমগুলোতে প্রবেশ করলে মনে যেন আগুনের গোহায় প্রবেশ করা হয়েছে। এতে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিন একাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বিদ্যুতের তীব্র অভাবে অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনেরও একই অবস্থা। বিদ্যুতের এমন অবস্থা দেখে পূর্বের তুলনায় শিক্ষার্থীরা এখন গ্রন্থাগারে যাচ্ছেনা।
এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রন্থাগারে নিয়মিত পড়ুয়া গণিত বিভাগ ২০১৯-২০সেশনের এক শিক্ষার্থী বলেন, সামনে আমার পরীক্ষা। মেসে ঠিকভাবে পড়তে পারিনা। সেজন্য গ্রন্থাগারে পড়তে আসি। কিন্তু এখানে বিদ্যুতের মারাত্মক সমস্যা। দিনের বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকেনা। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আমার মত বাকি শিক্ষার্থীদের অবস্থা বেগতিক হয়ে যাবে।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারন কী? এ সম্পর্কে  বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফর্মারের ধারন ক্ষমতা কম। একসাথে এগুলো জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করলে ট্রান্সফর্মার নষ্ট হয়ে যাবে। একবার ট্রান্সফর্মার নষ্ট হয়ে গেলে এটা সাড়াতে অনেক সময় লাগবে। সেজন্য আমরা যতটুকু বিদ্যুৎ পাচ্ছি সেটা প্রতিটি জায়গায় অল্প অল্প করে সরবরহ  করছি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থী বিদ্যুতের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে। এটা আমরা অনুভব করছি। সেজন্য আমরা খুব দ্রুত এবিষয়ে বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছি। আশা করি খুব দ্রুত ব্যবস্থা করতে পারবো।
উল্লেখ, গত ১৬মে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে উপাচার্য দপ্তরে অবস্থান করেন সাধারন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এর পরেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।