হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির হত্যা মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহমুদুল হককে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও বেরোবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ। এটিকে একটি ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সাজানো’ মামলা আখ্যা দিয়ে তাঁর অবিলম্বে মুক্তি দাবি করা হয়েছে।
শনিবার (২১ জুন) সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি ড. মো. মোজাম্মেল হোসেন বকুল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহমুদুল হককে যেভাবে একটি হত্যাকাণ্ড মামলায় অভিযুক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমরা অবিলম্বে তাঁর মুক্তি দাবি করছি।”
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “মাহমুদুল হক সাংবাদিকতা পেশায় সুনামের সাথে কাজ করেছেন এবং একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে পরিচিত। এ ধরনের একজন ব্যক্তির পক্ষে প্রকাশ্য সড়কে হত্যাকাণ্ডে জড়ানো কল্পনাতীত। মামলায় তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করাটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সাজানো ঘটনা বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।”
রাবির শিক্ষকরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন এবং মাহমুদুল হককে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর আহ্বান জানান।
এদিকে, নিজ বিভাগের শিক্ষককে গ্রেপ্তারের ঘটনায় ফুঁসে উঠেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিভাগীয় প্রধান তাবিউর রহমান প্রধান কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমাদের বিভাগের কেউ অন্যায়ভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হলে আমরা বরদাশত করব না। আমরা একটি পরিবার। যদি অবিলম্বে মাহমুদুল হকের মুক্তির ব্যবস্থা না করা হয়, তাহলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হব।”
উল্লেখ্য, গণ-অভ্যুত্থানের সময় ছমেস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় শিক্ষক মাহমুদুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে, মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর কবরের পাশে লাগানো সাইনবোর্ডে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, “গত ০২ আগস্ট ২০২৪ তারিখে পুলিশ তার বাড়িতে প্রবেশ করলে তিনি পুলিশ দেখে দৌড় দিতে গিয়ে পড়ে যান এবং হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ (স্ট্রোক) হয়ে মারা যান।” বিষয়টি প্রাইম মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত ডাক্তার নিশ্চিত করেছেন বলেও সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে।
এই তথ্য সামনে আসায় “হার্ট অ্যাটাকে” মৃত্যুর ঘটনাটি কীভাবে “হত্যা মামলায়” পরিণত হলো এবং সেখানে একজন স্বনামধন্য শিক্ষককে কেন আসামি করা হলো, তা নিয়ে ব্যাপক রহস্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এমআর/সব
শিরোনাম
বেরোবি শিক্ষককে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
-
বেরোবি প্রতিনিধি - আপডেট সময় : ০৭:২৫:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
- ।
- 107
জনপ্রিয় সংবাদ


























