০৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাবিপ্রবি’র মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ১ম ন্যাশনাল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

“বাংলাদেশের অর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জ, বিভিন্ন রাজনৈতিক কাঠামো এবং টেকসই উন্নয়ন সমস্যা মোকাবিলা” প্রতিপাদ্যে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে প্রথমবারের মত ন্যাশনাল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
শনিবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারি-২ এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। কনফারেন্সে দেশের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৫০ জন গবেষক ও শিক্ষার্থী অংশ নেন । জমা পড়া ৮০টি গবেষণাপত্রের মধ্য থেকে ৭২টি উপস্থাপন করা হয়, যা ৭ টি পৃথক সেশনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কনফারেন্সে প্রফেসর ড. মীর খালেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আবদুল-আওয়াল,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো. নজরুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে কী-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান, এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রফিকুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস.এম আব্দুল-আওয়াল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও দীর্ঘদিন এমন জাতীয় ও আন্তর্জাতিন সম্মেলন হয়নি। এটি আমাদের দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলন। এর আগে প্রথম ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের বিজনেস সম্মেলন হয়েছিল। খুব দ্রতই বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদে জাতীয় সম্মেলন আয়োজন করা হবে এবং পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করা হবে। এ ধরনের সম্মেলন শিক্ষা ও গবেষণায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের মধ্যে ইনোভেটিভ আইডিয়া ও পটেনশিয়ালিটি থাকতে হবে। আমাদের অনেক সুযোগ আছে, সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।
কীনোট স্পীকার অধ্যাপক ড. মো.ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, প্রতিনিয়ত পৃথিবী পরিবর্তীত হচ্ছে এবং এই পরিবর্তনকে আমাদের চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। সমাজের মঙ্গলের জন্য অর্থনীতিবিদ, গবেষক, বিজ্ঞানী এবং সমাজবিজ্ঞানী সবাই মিলে একসাথে কাজ করতে হবে। প্রকৃতিকে আমাদের রক্ষা করতে হবে, দুর্নীতি কমানো এবং দারিদ্রতা দূর করে টেকসই উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক এম রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের প্রোগ্রামগুলো শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মউন্নয়নের জন্যই নয় বরং আমাদের দেশের সমৃদ্ধির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কারো একক প্রচেষ্টা নয় বরং সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় টেকসই উন্নয়নের জন্য অধিকতর ইমপেক্টফুল।
কনফারেন্সের সভাপতি প্রফেসর ড. মীর খালেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, এটা আমাদের প্রথম ন্যাশনাল কনফারেন্স। এই অল্প সময়ে বাস্তবায়ন করা আমাদের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিলো। আমরা চেষ্টা করেছি প্রোগ্রামটা সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করতে। আমরা চেষ্টা করবো ভবিষ্যতে যেন আরও এমন কনফারেন্স আয়োজন করতে পারি। যারা এই প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক – শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা – কর্মচারী ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

ইয়েমেনের দক্ষিণে সৌদি বিমান হামলার অভিযোগ, নতুন করে উত্তেজনার আশঙ্কা

পাবিপ্রবি’র মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ১ম ন্যাশনাল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ০৭:৩২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

“বাংলাদেশের অর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জ, বিভিন্ন রাজনৈতিক কাঠামো এবং টেকসই উন্নয়ন সমস্যা মোকাবিলা” প্রতিপাদ্যে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে প্রথমবারের মত ন্যাশনাল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
শনিবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারি-২ এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। কনফারেন্সে দেশের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৫০ জন গবেষক ও শিক্ষার্থী অংশ নেন । জমা পড়া ৮০টি গবেষণাপত্রের মধ্য থেকে ৭২টি উপস্থাপন করা হয়, যা ৭ টি পৃথক সেশনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কনফারেন্সে প্রফেসর ড. মীর খালেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আবদুল-আওয়াল,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো. নজরুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে কী-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান, এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রফিকুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস.এম আব্দুল-আওয়াল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও দীর্ঘদিন এমন জাতীয় ও আন্তর্জাতিন সম্মেলন হয়নি। এটি আমাদের দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলন। এর আগে প্রথম ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের বিজনেস সম্মেলন হয়েছিল। খুব দ্রতই বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদে জাতীয় সম্মেলন আয়োজন করা হবে এবং পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করা হবে। এ ধরনের সম্মেলন শিক্ষা ও গবেষণায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের মধ্যে ইনোভেটিভ আইডিয়া ও পটেনশিয়ালিটি থাকতে হবে। আমাদের অনেক সুযোগ আছে, সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।
কীনোট স্পীকার অধ্যাপক ড. মো.ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, প্রতিনিয়ত পৃথিবী পরিবর্তীত হচ্ছে এবং এই পরিবর্তনকে আমাদের চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। সমাজের মঙ্গলের জন্য অর্থনীতিবিদ, গবেষক, বিজ্ঞানী এবং সমাজবিজ্ঞানী সবাই মিলে একসাথে কাজ করতে হবে। প্রকৃতিকে আমাদের রক্ষা করতে হবে, দুর্নীতি কমানো এবং দারিদ্রতা দূর করে টেকসই উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক এম রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের প্রোগ্রামগুলো শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মউন্নয়নের জন্যই নয় বরং আমাদের দেশের সমৃদ্ধির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কারো একক প্রচেষ্টা নয় বরং সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় টেকসই উন্নয়নের জন্য অধিকতর ইমপেক্টফুল।
কনফারেন্সের সভাপতি প্রফেসর ড. মীর খালেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, এটা আমাদের প্রথম ন্যাশনাল কনফারেন্স। এই অল্প সময়ে বাস্তবায়ন করা আমাদের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিলো। আমরা চেষ্টা করেছি প্রোগ্রামটা সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করতে। আমরা চেষ্টা করবো ভবিষ্যতে যেন আরও এমন কনফারেন্স আয়োজন করতে পারি। যারা এই প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক – শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা – কর্মচারী ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এমআর/সবা