সার্ব সুন্দরী টেনিস খেলোয়াড় আনা ইভানোভিচ ২০০৮ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতে টেনিস বিশ্বে আলোড়ন তোলেন। একই বছর তিনি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে হেরে যান মারিয়া শারাপোভার কাছে। ২০১৬ সালে টেনিস থেকে বিদায় নেন ইভানোভিচ।
এর আগে ২০১৪ সালে ইভানোভিচ সম্পর্কে জড়ান জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার বাস্তিয়ান শোয়াইনস্টাইগারের সঙ্গে। ২০১৬ সালে ইতালির ভেনিসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এই ক্রীড়াজুটি। তাঁদের সংসারে তিন সন্তান। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বেশির ভাগ সময় সন্তানদের নিয়ে নিজ দেশ সার্বিয়ায় কাটিয়েছেন ইভানোভিচ। আনার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেল শোয়াইনস্টাইগারের।
শোয়াইনস্টাইগার জার্মানির ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার। বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি তিনি বায়ার্ন মিউনিখ এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়েও আলো ছড়িয়েছেন। অবসর নেওয়ার পর টেলিভিশনে ফুটবল বিশ্লেষকের দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক এই মিডফিল্ডার। পেশাগত কারণে তাঁকে প্রায়ই বিদেশে থাকতে হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ভিন্ন জীবনধারাই দুজনের সম্পর্কের মাঝে দেয়াল তুলে দিয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মেইল স্পোর্টসের এক প্রতিবেদনে এ দুজনের দাম্পত্য কলহের খবর সামনে আসে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, আনা (ইভানোভিচ) ও বাস্তিয়ানের (শোয়াইনস্টাইগার) সম্পর্ক ‘গভীর এক সংকটে’ পড়েছে। এর পেছনে প্রধান কারণ তাঁদের বিপরীতমুখী জীবনযাপন।
শোয়াইনস্টাইগার নিয়মিত ভ্রমণ ও পেশাদার দায়িত্বে ব্যস্ত থাকলেও ইভানোভিচ পারিবারিক জীবনে বেশি জড়িয়ে ছিলেন। আর এই টানাপড়েনই শেষ পর্যন্ত কাল হয়েছে। তবে এই বিচ্ছেদ নিয়ে দুজনের কেউ প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
এদিকে গত জুনে জার্মান সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বাস্তিয়ান শোয়াইনস্টাইগারকে তাঁর কথিত নতুন প্রেমিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা গেছে। সিলভা নামের বুলগেরিয়ান সেই নারীর সঙ্গে শোয়াইনস্টাইগারের স্পেনের মায়োর্কায় ঘুরতে গিয়েছিলেন বলেও জানানো হয় ওই প্রতিবেদনে। গুঞ্জন আছে, শোয়াইনস্টাইগার ও সিলভা এর আগে মরক্কোতেও একসঙ্গে ছুটি কাটিয়েছেন।
আরকে/সবা


























